গত বছর ঢাকায় নিয়ে গেলেও কাঙ্খিত দাম না মেলায় কুষ্টিয়ার বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয় ষাঁড় ‘কালো মানিক’কে। এক বছর পর ফের তৈয়ব আলী তার প্রিয় ‘কালো মানিক’কে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছেন। কালো মানিকের ওজন প্রায় ৩০ মণের ওপরে। গায়ের রং কালো কুচকুচে। লম্বায় আনুমানিক ১০ফুট।
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার হালসা বামনগাড়ী এলাকার দরিদ্র কৃষক তৈয়ব আলী বেশ কয়েক বছর ধরে এই ষাঁড়টি লালন পালন করছেন । আদর করে ষাঁড়টির নাম দিয়েছেন কালো মানিক। বিশালাকৃতির ষাঁড়টি এরই মধ্যে এলাকায় বেশ আলোড়ন তৈরি করেছে। অনেকেই তার বাড়িতে ষাঁড়টি দেখতে আসছেন।
তৈয়ব আলী জানান, গত বছর ঢাকার গাবতালি বাজারে বিক্রির জন্য তিনি নিয়ে যান প্রিয় ‘কালো মানিক’কে। তখন ষাঁড়টির ওজন ছিল ৩১মণ। দাম চেয়েছিলেন ১০ লাখ টাকা। কিন্তু কাঙ্খিত দাম না পাওয়ায় ষাঁড়টি বিক্রি না করে ফিরিয়ে নিয়ে যান বাড়িতে। এক বছর ধরে টাকা পয়সা ধার দেনা করে ষাঁড়টির যত্ন করছেন তৈয়ব আলী। তিনি আরও জানান, দু’একদিনের মধ্যে ঢাকায় নিয়ে যাবেন প্রিয় কালো মানিককে।
তৈয়ব আলী বলেন, গত বছর ১০ লাখ টাকায় বিক্রির ইচ্ছা ছিলো ষাঁড়টি। কিন্তু ৭ লাখ টাকার ওপরে দাম না ওঠায় হতাশ হয়ে ফিরে আসি। এক বছর ধার-দেনা করে ষাঁড়টি পালছি। আশা করছি কাঙ্খিত দামে বিক্রি করতে পারবো। তার আশা, এ বছর ১৫ লাখ টাকায় ষাঁড়টি বিক্রি করতে পারবেন।
তবে দেশের কয়েকটি জেলায় বন্যা হওয়ায় কারণে গরুর বাজার পড়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তৈয়ব আলী। কাঙ্খিত দাম না পেলে লোকসান হলেও কালো মানিককে এবার আর ফিরিয়ে আনবেন না বলেও জানান তিনি।