দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় বকেয়া বেতনের দাবিতে পাটকলশ্রমিকদের বিক্ষোভের সময় গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১০ থেকে ১২ জন। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার বিরল ইউনিয়নের রবিপুর গ্রামে পাটকলের প্রধান ফটকে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম সুরত আলী (৩৬)। তিনি পাটকলের পাশের চায়ের দোকানি ও বিরল পৌর এলাকার হোসনা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন সপ্তাহের বকেয়া বেতনের দাবিতে বুধবার সন্ধ্যা থেকে রূপালী জুট মিলের সামনে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন। সন্ধ্যা থেকে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতার চেষ্টা করেন মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আব্দুল লতিফ। পরে এম আব্দুল লতিফ ঘটনাস্থলে এসে শ্রমিকদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু শ্রমিকেরা উত্তেজিত হয়ে মিলের কার্যালয় ভাঙচুর শুরু করেন। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি ছোড়ে ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।
বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাসিম হাবিব এক ব্যক্তির নিহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শ্রমিকদের হামলায় ৩ পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। শ্রমিকদের শান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। পুলিশের কথায় কর্ণপাত না করে তাঁরা কারখানা ভাঙচুর করেছিলেন। পুলিশ বাধা দিলে একপর্যায়ে উল্টো পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করেন শ্রমিকেরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ প্রথমে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে এবং পরে কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ সময় উভয় পক্ষের হামলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
বিরল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোকাদ্দেস আজ বৃহস্পতিবার সকালে জানান, একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির থুতনিতে একটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
# সূত্র: প্রথম আলো#