২৯ অক্টোবর রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজেন্ডার আই ইগনাতভ এক বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের কাছে আগ্রহের কথা জানান।
এ সময় বাংলাদেশকে ডিজিটাল রূপান্তরের কার্যক্রম এগিয়ে নিতে টেলিযোগাযোগ খাতের উন্নয়নে বিনিয়োগ ও কারিগরি সহযোগিতা করবে বলে আশ্বাস দেন।
বৈঠকে রাশিয়ার স্যাটেলাইট প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গ্লাভকসমসের পাঁচ সিনিয়র কর্মকর্তা ভিতালি সাফোনভ, সার্জে বারাইকিন, আলেকজেন্ডার কাসনিন, কিরিল প্লতনিকভ অংশ নিয়েছেন। রাশিয়ার এ প্রতিনিধি দল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ছাড়াও টেলিটক ও বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগের অন্যান্য খাতে বিনিয়োগসহ নানাভাবে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে।
রাশিয়াকে বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশের টেলিকম ও ডিজিটাল রূপান্তরের ক্ষেত্রে রাশিয়ার সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে।
সরকারের ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং বিনিয়োগবান্ধব নীতির ফলে বাংলাদেশে বিনিয়োগ অত্যন্ত লাভজনক। সরকারের বিনিয়োগবান্ধব এই নীতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য রাশিয়ার প্রতি আহবান জানান মন্ত্রী।
বৈঠকে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের টেলিকম প্রযুক্তিসহ উন্নয়নের প্রতিটি সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের অগ্রগতিতে টেলিযোগাযোগ বা ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ অত্যন্ত সম্ভাবনাময় বলে উল্লেখ করে নিজেদের বিনিয়োগের আগ্রহের কথা জানান তিনি।
২০২৩ সালের মধ্যে মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণে কাজ শুরু করেছে সরকার। প্রতিরক্ষা, আবহাওয়া, কৃষি এবং স্বাস্থ্যসহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ তে কী কী থাকা উচিত এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর লাইফ টাইম মাথায় রেখে স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ঠিক করতে কাজও শুরু হয়েছে।
এতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ যথাসম্ভব ত্রুটিমুক্ত, প্রয়োজনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এবং চাহিদা মেটানোর উপযোগী করতে বিশেষজ্ঞ পরামর্শের ভিত্তিতে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে বাংলাদেশ কমিউনিকেশন্স স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডকে (বিসিএসসিএল) নির্দেশনাও দেয়া হয়।
বৈঠকে বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক, বিসিএসসিএলের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, বিটিসিএলের এমডি মো. আজিজুল ইসলাম, টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মহিবুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র: যুগান্তর