ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিব উল্যাহ পলাশ বিশ্বাস বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের নাতি। মুজিব উল্যাহ ওরফে পলাশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। এরপর এ কমিটি স্থগিত করা হলে প্রভাবশালীদের চাপে তা পুনরায় বহাল রাখা হয়। একই পরিবারের এক নারীও সরকারি চাকরিজীবী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) মাজেদ গ্রেফতার হয়েছেন গতকাল রাতে। কিন্তু তার আগে থেকেই ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক খুনি মাজেদের নাতি মুজিব উল্যাহ পলাশ মিয়া।
এলাকায় খবর নিয়ে জানা যায়, যে কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুজিব উল্যাহ পলাশ মিয়া, সেই কমিটি একবার স্থগিত করা করা হয়েছিল। পরে একটি প্রভাবশালী মহলের চাপে সেই কমিটি আবার বহাল করা হয়। খুনি মাজেদ গ্রেফতারের খবরে বোরহানউদ্দিনের চায়ের কাপে ফের ঝড়, এবার সেই প্রভাবশালী মহলের স্বরূপ উন্মোচন করা হোক, যারা দীর্ঘদিন বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের পরিবারকে ভয়ঙ্কর রকমের পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছেন।
এলাকায় এখন এটাও বলাবলি হচ্ছে, খুনি মাজেদের পরিবারের এক নারী সদস্যকে সরকারি প্রাইমারি স্কুলের চাকরিও পাইয়ে দেয়া হয়েছিল। পরে এলাকার মানুষের আপত্তির মুখে ও গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিকে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিব উল্যাহ পলাশ বিশ্বাস খুনি মাজেদের নাতি কিনা জানতে চাইলে ভোলা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রিয়াজ মাহমুদ প্রথমে জানেন না বলে দাবি করেন। তারপর বলেন, ‘এ কমিটি আমরা দেইনি। আমরা কিছু করতে পারি না’।
দ্বিতীয়বার তাকে কল দিলে তিনি বলেন, ‘মুজিব উল্যাহ পলাশ খুনি মাজেদের নাতি না। কোটা লাগাইন্না নাতি হতে পারে’। এরপর তিনি প্রতিবেদককে ধমক দিয়ে বলেন, ‘আমরা কমিটি দিছি আমরা জানি না। আপনি কী জানেন?’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা দুপুরে এ তথ্য পেয়েছি। এটি খুবই দুঃখজনক। আমাদের সময় কমিটির আগে সে নেতা হওয়ায় আমরা বিস্তারিত জানি না। এখন খবর নেয়া হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে কে কে জড়িত তা আমরা খুঁজে বের করব। তাদের শাস্তির আওতায় আনব’।
সুত্র-জাগোনিউজ24