বরিশালে করোনা উপসর্গ নিয়ে ৩০ ঘণ্টার ব্যবধানে ৩ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তবে এর মধ্যে দুই জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ (করোনা আক্রান্ত) এবং একজনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। ওই ৩ জন রোগী শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
সবশেষ শনিবার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে পিরোজপুরের কাউখালীর বিয়ারঝুড়ি এলাকার এক বৃদ্ধ (৮০) মারা যায়। জ্বর, সর্দি-কাশি নিয়ে গত ১৫ এপ্রিল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। তবে মারা যাওয়ার আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ হয়।
এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে বরগুনার বেতাগীর ফুলতলা এলাকার ৭২ বছর বয়সের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। শুক্রবার রাতে তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ হয়। শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।
এছাড়া গত শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন পটুয়াখালীর কলাপাড়ার এক নারী (৪০) মারা যায়। ওইদিন রাতে তার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ হয়। জ্বর-সর্দি-কাঁশি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তর করেন।
গত ৩০ ঘণ্টার ব্যবধানে করোনা ওয়ার্ডে ৩ জন রোগী মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বলেন, মারা যাওয়া রোগীদের মধ্যে একজনের করোনা নেগেটিভ এবং অপর দুইজনের রিপোর্ট পজেটিভ।
সবশেষ দুপুর পর্যন্ত শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ২২জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। এদের মধ্যে ১৬জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন জেলার আগৈলঝাড়ার একটি উপ-স্থাস্থ্য কেন্দ্রের এক চিকিৎসক এবং মেডিকেল কলেজের এক ছাত্রকে বিশেষ ব্যবস্থায় ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মেডিকেলে কলেজের ৫ম বর্ষের ওই ছাত্র কয়েক দিন আগে কুমিল্লা থেকে এসে মেডিকেলে কলেজের ছাত্রাবাসে অবস্থান করছিলেন। করোনা উপসর্গ থাকায় তার নমুনা পরীক্ষা করা হলে রিপোর্ট পজেটিভ হয়।
মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে এক ছাত্রের করোনা আক্রান্তের খবরে মেডিকেল কলেজের পেছনের গেট শনিবার সকালে স্থানীয়রা বাঁশ-কাঠ দিয়ে আটকে দেয় বলে জানান মো. রিশাদ নামে এক ব্যক্তি। সূত্র-বাংলাদেশ প্রতিদিন