বর্তমান সরকার দেশে বাকশালি শাসন ব্যবস্থা চালু করেছে। আ.লীগ সরকারের দুঃশ্বাসন থেকে দেশ বাসিকে রক্ষা করতে হলে আন্দলনের কোন বিকল্প নেই। যদিও স্বৈরাচারি এ সরকারের বিদায় ঘন্টা বেজে গেছে।
পিছনের দরজা দিয়ে রাষ্ট্রিয় ক্ষমতা ধরে রেখেছে। মুখে গণতন্ত্র বললেও কোথাও বাক স্বাধীনতা নেই। উন্নয়নের নামে মেগা প্রকল্প আর লুটপাট চালিয়ে দেশের মানুষের মাথায় আজ ঋণের বোঝা। সরকারে এমপি মন্ত্রীদের কথাবার্তা শুনলে মনে হয় এদেশে আর কারো রাজনীতি করার অধিকার নেই।
ইতিহাস স্বাক্ষী নির্যাতন, নীপিড়ন করে কেউ বেশি দিন টিকে থাকেনি। আ.লীগ সরকারও থাকবে না। আজ যারা নেতা নির্বাচিত হয়েছেন আর যারা হতে পারেননি তারা প্রত্যেকেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার সৈনিক। আগামী দিন আন্দলনের ডাক আসলে সবাইকেই ঝাপিয়ে পড়তে হবে।
শনিবার বেলা ৩ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা মদনা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ৬ টি ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠানে উপরোক্ত কথা গুলো বললেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির উপ-কোষাধ্যক্ষ ও জেলা বিএনপির আহবায়ক মাহমুদ হাসান খাঁন বাবু।
দর্শনা থানা বিএনপির প্রধান সম্বনায়ক ও জেলা বিএনপির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা খাজা আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে সম্মেলন অনুষ্ঠানের উদ্বোধক জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফুজ্জান শরীফ বলেন, রাতের আঁধারে ব্যালটকাটা সরকারের অধিনে আর নির্বাচন নয়। সরকার যাতে দেশে স্বচ্ছ ভোট ব্যবস্থা দিতে বাধ্য হয় সে আন্দলন গড়ে তুলতে হবে।
তাই আন্দলনের ডাক আসলে কেউ ঘরে বসে থাকবেন না। জাতীয়তাবাদি দল বিএনপি গণমানুষের দল। জনগনই আমাদের শক্তি। সর্বক্ষেত্রে বর্তমান সরকার দূর্নিতি করে যাচ্ছে। সময় আর বেশি নেই। পালানোর পথ খুজে পাবে না আ.লীগ সরকারের নেতাকর্মীরা। দলীয় পদ পেয়ে ঘরে বসে থাকলে চলবে না। জালিম সরকার আবারও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার জন্য নীল নকশা আটছে। তাই বিএনপি’র প্রতিটি নেতাকর্মীকে সজাগ থাকতে হবে।
জেলা বিএনপির সদস্য হাবিবুর রহমান বুলেটের সার্বিক পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সদস্য এম জেনারেল, আনোয়ার হোসেন খান খোকন, সিরাজুল ইসলাম মনি, মনিরুজ্জামান মনি, রফিকুল হাসান তনু, মোকারম হোসেন, রোকুনুজ্জামান রোকন, নজরুল ইসলাম, আবুবক্কর ছিদ্দিকী, আবুল হোসেন তোহা, মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু, জেল কৃষকদলের সদস্য সচিব তোবারোক হোসেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশিদ ঝন্টু, সাংগাঠনিক সম্পাদকরাজীব খান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহাজাহান আলী, সাধারণ সম্পাদক মমিন মালিথা, জেলা মৎসজীবি দলের আহবায়ক আবু বক্কর ছিদ্দিক, জেলা সেচ্ছা সেবক দলের আহবায়ক শফিকুল ইসলাম পিন্টু, দর্শনা থানা সমন্বয় কমিটির সদস্য আকতারুজ্জামান, আব্দুর রশিদ, আহম্মদ, বিপ্লব, থানা যুবদলের সভাপতি জালাল উদ্দীন লিটন, সদস্য সচিব সাজেদুর রহমান, থানা ছাত্রদলের সভাপতি নাফিউল ইসলাম লিমন, যুগ্ন আহবায়ক সুজন আহম্মেদ, থানা সেচ্ছা সেবক দলের মজনুর রহমান, সদস্য সচিব আবু হেনা।
অনুষ্ঠানের মাঝে বেলা সাড়ে ৩ টার দিকে গোপন ব্যলটের মধ্যমে মদনা হাইস্কুলের ক্লাস রুমে দর্শনা থানাধীন ৬ টি ইউনিয়নের বিএনপির কমিটি গঠনের লক্ষে শান্তি শৃঙ্খলা পরিবেশের মধ্য দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিকাল ৬ টার দিকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনা করেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক মহামুদ হাসান খাঁন বাবু ও সদস্য সচিব শরিফুজ্জামান শরিফ।
এ নির্বাচনে তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিতে সভাপতি মিলন মিয়া, সহসভাপতি খলিলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন টোটন, সহ সাধারণ সম্প্দক আব্দুল খালেক, সাংগাঠনিক সম্পাদক নাজমুল হোসেন নির্বাচিত হন। গড়াইটুপি ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিতে সভাপতি মহাব্বত আলী, সহসভাপতি রবিউল হক, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, সহ সাধারণ সম্পাদক শাহআলম, সাংগাঠনিক সম্পাদক আতিয়ার রহমান নির্বাচিত হন। নেহালপুর ইউনিয়ন বিএনপির কমাটিতে সভাপতি ফরজ আলী, সহসভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সহসাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ, সাংগাঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম নির্বাচিত হন। বেগমপুর ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিতে সভাপতি আশরাফুল হক, সহসভাপতি দুজন সমমান, সাধারণ সম্পাদক আসলাম উদ্দীন, সহসাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক, সাংগাঠনিক সম্পাদক দুজন সমমান নির্বাচিত হন। কুড়ালগাছি ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিতে সভাপতি আব্দুল রশিদ, সহসভাপতি ইদ্রিস আলী, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবু, সহসাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন। সাংগাঠনিক সম্পাদক আশরাফুল হক নির্বাচিত হন। পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিতে সভাপতি শফিউল্লাহ শফি, সহসভাপতি আমিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আজিবার রহমান, সহ সধারণ সম্পাদক মামুন রেজা, সাংগাঠনিক আশিক ইকবাল চঞ্চল নির্বাচিত হন।