হেপাটাইটিস বি নিয়ে সবার মনে যত আতঙ্ক হেপাটাইটিস এ নিয়ে অতটা নয়। তবে বর্ষার সময় হেপাটাইটিস-এ এর মতো রোগের শঙ্কা অনেক বেড়ে যায়।
হেপাটাইটিস-এ আসলে কি?
হেপাটাইটিস-এ একটি ছোঁয়াচে রোগ। তবে এই রোগ হেপাটাইটিস-বি এর মতো দীর্ঘমেয়াদী কোনো সমস্যা তৈরি করে না। এক সপ্তাহ কিংবা মাস-খানেকের মধ্যে রোগ নিরাময় হয় ও রোগীর সুস্থতা দ্রুতই হয়।
ডেঙ্গুর যেসব উপসর্গ দেখলেই হাসপাতালে যাবেনডেঙ্গুর যেসব উপসর্গ দেখলেই হাসপাতালে যাবেন
কাদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি?
এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন নেওয়া না থাকলে আর আগে যদি কখনো আক্রান্ত না হয়ে থাকেন তাহলে হেপাটাইটিস-এ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে। আজকাল এমন ভ্যাকসিনও আছে যা একইসঙ্গে হেপাটাইটিস-এ ও হেপাটাইটিস-বি প্রতিরোধে সাহায্য করে। মূলত দূষিত পানির মাধ্যমে আমাদের ইমিউনিটি ক্ষতিগ্রস্ত করে এই ভাইরাস। বর্ষায় রাস্তায় বৃষ্টিতে ময়লা পানির সংস্পর্শে আসলে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
হেপাটাইটিস-এ রোগের লক্ষণ
হেপাটাইটিস-এ রোগের লক্ষণগুলো সাধারণ। মৌসুমি জ্বরের সঙ্গে অনেকে তুলনা করে ফেলেন। হেপাটাইটিস-এ রোগের লক্ষণগুলো হলো:
.জ্বর আসার পাশাপাশি বমি হওয়া।
.পেটে তীব্র ব্যথা।
.চুলকানি বাড়া ও ক্লান্তি ভর করে।
.জন্ডিস হতে পারে তবে রোগের শেষ পর্যায়ে। আর জন্ডিস হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
.চুলকানির সঙ্গে সঙ্গে প্রদাহজনিত সমস্যাও বাড়ে।
.অধিকাংশ রোগী নিজে নিজেই সুস্থ হয়ে যান। তবে জন্ডিস হলে লিভারের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই গাফিলতি করা যায় না।
হেপাটাইটিস-এ সন্দেহে করণীয়
সন্দেহ হচ্ছে আপনার হেপাটাইটিস-এ? তাহলে এই পরামর্শগুলো মেনে চলুন:
.হেপাটাইটিস এ রোগের সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই তবে আপনি একটু আরামের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে যাবেন।
.এই সময় স্বাস্থ্য সতর্কতা মেনে চলতে হবে ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। এক সপ্তাহ বা মাসেই সুস্থ হবেন।
.নিজে নিজে জ্বরের বা চুলকানির ওষুধ খাবেন না।
.ধূমপান বা মদ্যপান এসময় ত্যাগ করতে হবে।
.প্রচুর পানি পান করুন।
.নিয়মিত হাত ধোবেন, বাইরে থেকে বাড়িতে ফিরে হাত-পা ধোবেন।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস