মেহেরপুর সদর উপজেলার সাহেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণী কক্ষের অভাবে বাঁশের তৈরি একটি ঘরের মেঝেতে পাটি বিছিয়ে পাঠ করাতে হচ্ছে। শুকনো মৌসুমে পাঠ দান করানো গেলেও শীত ও বর্ষা মৌসুমে অসুবিধায় পড়তে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।
১৯৩৫ সালে প্রতিষ্টিত এই বিদ্যালয়টির ভবনের কক্ষ রয়েছে চারটি। এর মধ্যে একটি ক্ষ অফিস। বাকি চারটিতে পাঠদান করানো হয়। এক শিফটের বিদ্যালয় হওয়াতে কোন না কোন ক্লাসের শিক্ষার্থীদের বাশের বেড়া দিয়ে তৈরি ওই কক্ষে মেঝেতে পাটি বিছিয়ে পাঠ দান করা তে হয়। দির্ঘদিন ধরে এ সমস্যা সমাধানের জন্য লিখিত আবেদন করা হলেও এখনো পর্যন্ত কোন সমাধান হয়নি।
শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বহু পুরাতন বিদ্যালয়টিতে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত মাত্র ৬১ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষক রয়েছেন চার জন। শ্রেণী কক্ষ সংকটের কারণে গ্রামবাসীরা বিদ্যালয় মাঠে বাঁশের বেড়া দিয়ে একটি ক্লাস রুম বানিয়ে দিয়েছেন। সেখানেই পাটি বিছিয়ে প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। কখনো কখেনো অন্য ক্লাসের শিক্ষার্থীদেরও পাঠ দান করানো হয়।
বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্র হৃদয় জানান, ক্লাস রুম না থাকায় আমাদের পাটিতে বসে ক্লাস করতে হয়। অন্যান্য ক্লাসের সবাই বেঞ্চে বসে ক্লাস করে। আমাদের ক্লাস রুম হলে ভাল হয়।
বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মনিরা জাহান জানান, এখন এই রুমে পাটি বিছিয়ে ক্লাস নেওয়া গেলেও বর্ষা ও শীত মৌসুমে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয় না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন বিদ্যালয়ে না থাকলেও মোবাইলে ফোনে জানান, শ্রেণী কক্ষ সংকটের কারণে দির্ঘদিন ধরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তী পোহাতে হচ্ছে। শ্রেণী কক্ষ সংকটের বিষয়টি উর্ধ¦তন কর্তৃপক্ষকে বারবার লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোন ফল পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার আপিল উদ্দিন জানান, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে বিদ্যালয়টির ভবন নির্মানের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। আশা করি দ্রুততম সময়ের মধ্যে মধ্যেই বরাদ্দ পাওয়া যাবে।
সুত্র-যুগান্তর