কুয়েতের জাবের আল আহমাদ স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ এবং এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ফিলিস্তিন ৫-০ গোলে বাংলাদেশকে হারিয়ে আজ সকালে ঢাকায় আসছে ফিলিস্তিন। এর আগেই ঢাকায় ফেরার পথে ছিল বাংলাদেশ ফুটবল দল। তারা আজ ভোরেই হোটেলে উঠার কথা। বাংলাদেশ-ফিলিস্তিন ফিরতি ম্যাচ ঢাকায়, ২৬ মার্চ।
ফিলিস্তিন শক্তিশালী দল। তাদের বিপক্ষে পারবে না বাংলাদেশ, বড় ব্যবধানে হারবে, সেটা আগেই অনুমিত ছিল। তারপরও কুয়েতের মাঠে হওয়া খেলা যারা দেখেছেন তাদের চোখে আশা জাগিয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম ৪২ মিনিট পর্যন্ত অন্তত তিন বার বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিতুল মারমাকে একা পেয়েও বাইরে মেরে সুযোগ নষ্ট করে ফিলিস্তিন। এরই ফাঁকে বাংলাদেশ অন্তত দুই বার গোলের সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হয়েছে।
ফাহিম, সোহেল রানা, রাকিবরা আক্রমনভাগে অপ্রত্যাশিত সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফিলিস্তিনি ফুটবলাররা উচ্চতায় সাড়ে ৬ ফুট। তাদের বিপক্ষে বাংলাদেশ এরিয়েলে না খেলে গ্রাউন্ড বলে খেলছিল। এতে সুযোগও হচ্ছিল। কিন্তু প্রথমার্ধের শেষ দিকে রক্ষণের ব্যর্থতায় বাংলাদেশ টপাটপ গোল হজম করে। ফিলিস্তিনি জানে তারা ছয় দিনের ব্যবধানে দুটি ম্যাচ খেলবে। ঢাকার মাঠে পুরো বিপরীত পরিবেশে খেলতে হবে। হয়তো সে কারণে প্রথম ম্যাচে নিজেদের
শক্তিটাকে পুরোপুরি ঢেলে দেয়নি। সেই সুযোগটা পেয়েও লুফে নিতে পারেনি জামাল ভূঁইয়ারা। ৫টা গোলই হয়েছে রক্ষণের ফুটবলারদের কারণে। হ্যাটট্রিক করেছেন ফিলিস্তিন দলের একমাত্র ইউরোপে খেলা ফুটবলার ওদে দাবাগ। বেলজিয়ামে খেলেন তিনি। ৪২ মিনিট পর্যন্ত গোল পোস্ট আগলে রেখে গোল হজম করে। দুই ডিফেন্ডার দু- দুটি ভুল করেন, ২-০ তে এগিয়ে যায় ফিলিস্তিন। ৪৩ মিনিটে ওদে দাবাগ গোল করলেন সাদ উদ্দিনের ভুলে। ৪৫ মিনিটে শিহাব কামবর গোল করলেন সোহেল রানার ভুলে। এই সোহেল রানা সবচেয়ে রানা নিজেদের বক্সে এমনভাবে বল রিসিভ করলেন, সোহেল রানার পায়ের বল ফিলিস্তিনি ফুটবলার শিহাবের পায়ে গেলে গোল করেন তিনি।
ওদে দাবাগ, শিহাব, ওয়ারদা বাংলাদেশের রক্ষণে যতটা তচনচ করেছেন, তার চেয়েও বেশি ভুল খেলে সুযোগ করে দিয়েছেন বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা। ভাগ্য ভালো গোলরক্ষক মিতুল মারমা এদের মধ্যে ভালো খেলে পোস্ট আগলে রেখেছিলেন। প্রথম দুই গোলেই শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে নেমে বাংলাদেশ যেন আরো বিপদে পড়ে যায়। ফিলিস্তিনি ফুটবল দল বাংলাদেশকে গলা চেপে ধরে। ৪৯ মিনিটে আবার শিহাব গোল করেন, ৩-০। ৫৩ মিনিটে ওদে দাবাগ গোল করেন, ৪-০। ততক্ষণে বাংলাদেশের সব সর্বনাশ হয়ে গেছে, ৭৭ মিনিটে হ্যাটট্রিক করেন ওদে দাবাগ ৫-০।
সূত্র: ইত্তেফাক