রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, দেশের একমাত্র চতুর্দেশিয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী মহা-পরিকল্পনা করা প্রয়োজন। কারণ এই পোর্টটি দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য স্থলবন্দরের চেয়ে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।
এই বন্দরের সাথে প্রতিবেশী বেশ কয়েকটি দেশের যোগাযোগ হচ্ছে। তিনি বলেন বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করতে হবে। তিনদিকে সীমান্ত থাকায় বন্দরের যায়গা কম। তাই অবকাঠামোসহ অন্যান্য ব্যাপারে টেকসই চিন্তা করতে হবে।
এ ব্যাপারে একটি সুনির্দিষ্ট মহা-পরিকল্পনা করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী মহলসহ জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, সকল উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে সরকার এখন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করে কাজ করছে। সরকার দেশের এবং মানুষের অগ্রগতি ধরে রাখতে চায়।
শনিবার দুপুরে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে এক মত-বিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আরও বলেন পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেল সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এই স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের শিলিগুড়ি দিয়ে অন্যান্য দেশে রেল যোগাযোগ স্থাপনের চিন্তাভাবনা চলছে।
পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের প্রকল্প অচিরেই চূড়ান্ত হবে। আশাকরি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে। বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ হলে এই স্থলবন্দরের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের রাজস্ব আয়ও বেড়ে যাবে। তাই আমরা যত দ্রুত সম্ভব বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে অন্যান্য দেশের সাথে রেল যোগাযোগ স্থাপন করতে চাই।
জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত-বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহা, উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান ডাবলু, বাংলাবান্ধা ল্যান্ড পোর্টের জেনারেল ম্যানেজার হাবিবুর রহমান, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা, সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।
সূত্র- বিডি প্রতিদিন