আগেই শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। তবে জো বাইডেনের সঙ্গে কথোপকথন হয়নি। অবশেষে নব-নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপ সারলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। করোনাভাইরাস মহামারী, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সহযোগিতার মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা করলেন তারা।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ টুইটারে মোদি বলেন, “অভিনন্দন জানানোর জন্য নব-নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা বললাম। ইন্দো-মার্কিন কৌশলগত সম্পর্কের প্রতি আমাদের দৃঢ় প্রতিজ্ঞায় জোর দিলাম। করোনাভাইরাস মহামারী, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সহযোগিতার মতো বিষয়ে দু’পক্ষের অগ্রাধিকার এবং উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা করলাম।”
মোদি এবং বাইডেন আর কী কী বিষয়ে কথা বলেছেন সে ব্যাপারে বিস্তারিতভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি। তবে ট্রাম্প-পরবর্তী মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে যে আলোচনা চালিয়ে যাবে ভারত, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মোদি। বরাবরই প্যারিস জলবায়ু চুক্তি নিয়ে বিস্তর অভিযোগ তুলেছেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারত-চীনের মতো দেশকে বাড়তি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলে গোঁসা করেছেন। এমনকী প্যারিস চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার স্বপক্ষে যুক্তি হাতড়াতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের নির্বাচনী প্রচারে ভারতকে ‘নোংরা’ বলেছিলেন ট্রাম্প। সেই সময়ও ভারতকে ‘বন্ধু’ হিসেবে ট্রাম্পকে কটাক্ষ করেছিলেন বাইডেন। সেক্ষেত্রে প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে আবারও আমেরিকার স্বাক্ষরের সম্ভাবনাও আছে বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের।
ভারত-মার্কিন পারস্পরিক সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি বাইডেনের ডেপুটি কমলা হ্যারিসকেও অভিনন্দন জানান মোদি। টুইটারে সে কথা জানিয়ে মোদি বলেন, “নব-নির্বাচিত মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকেও উষ্ণ অভিনন্দন জানানোর কথা বলেছি। প্রাণবন্ত ভারতীয়-মার্কিন গোষ্ঠীর কাছে তার সাফল্য অত্যন্ত গর্বের এবং অনুপ্রেরণামূলক। যারা ইন্দো-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি।” সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস