মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দি গরুর হাট উন্নয়ন প্রকল্পের অর্ধকোটির টাকার ৩১টি কাজের মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে মাত্র দুইটি। বাকি গুলোর মধ্যে কোন কাজ হয়েছে আংশিক আবার কোন কাজ একেবারেই হয়নি। উন্নয়ন বরাদ্দের প্রায় অর্ধকোটি টাকার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে বাজার কমিটির সভাপতি বামুন্দি ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল বিশ্বাসের কার্যকলাপ নিয়ে। কাজ না করে বিল হাতিয়ে নওয়ার পায়তারা করছে বলেও অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের জারিকৃত নীতিমালা অনুযায়ি হাট-বাজার ইজারার ১৫ শতাংশ অর্থ সংশ্লিষ্ট হাট-বাজার উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়।
সে অনুযায়ি ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের মেহেরপুর জেলার বামুন্দি গরু হাট ,কসাই খানা বাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্থাপনা রক্ষনাবেক্ষন ও উন্নয়নের জন্য প্রায় অর্ধকোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর উপজেলা হাট বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় বামুন্দি বাজার উন্নয়ন ও অবকাঠামো নির্মানের জন্য ৩১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। যে সভার সভাপতিত্ব করেন সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিঞ্চু পদ পাল।
বামুন্দি বাজার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় অনমোদিত প্রকল্পের বেশির ভাগ কাজই করা হয়নি। ২৮ লক্ষ্য টাকার বালি ভরাটে ১৪টি প্রকল্প করা হয়েছে নাম মাত্র। এছাড়াও একটি টিন শেড ও মসজিদ উন্নয়নের কাজ করা হয়েছে।
বাকি প্রকল্প গুলোর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রাস্তা এইচবি করন, ড্রেন নির্মান, কসাই খানার টিন শেড ও মেঝে নির্মান, মুরগি ও কবুতর বিক্রির স্থানে টিন শেড ইত্যাদি। এই অর্থ বছর শেষ হতে চললেও কাজ এখনো শুরু করা হয়নি। কবে নাগাদ হবে বা আদৌ হবে কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জনমনে।
বামন্দি ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য কামাল হোসেন বলেন, সব কাজ এখনো হয়নি। আমার জানা মতে দুইটি কাজ হয়েছে এবং সেই কাজের বিল পেয়ে গেছে। বাকি কাজের মধ্যে বালি ভরাট করা হয়েছে।
বামন্দি ইউপি চেয়ারম্যান ও বাজার কমিটির সভাপতি শহিদুল বিশ্বাসের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কাজের বিষয়ে আমি বলতে পারেবো না আপনারা অন্য জায়গায় খোজ নেন বলে ফোন কেটে দেন।
উপজেলা উপসহকারি প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম জানান, আমার জানা মতে দুইটি কাজ হয়েছে। এছাড়াও বালি ভরাটের কাজ হয়েছে কিন্তু এখনো আমরা জায়গাটি পরিদর্শন করিনি।
গাংনী উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী গোলাপ আলী শেখ বলেন, এই কাজের কোন তথ্য আমার কাছে নেই। আমার আগে যিনি দায়িত্বে ছিলেন তার হাতেই কাগজপত্র স্বাক্ষর হয়েছে।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা খাতুন মেহেরপুর প্রতিদিনকে বলেন, দুইটি কাজের বিল দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বালি ভরাটের কাজটি আমি ইঞ্জিনিয়ার সাহেবকে বলেছি পরিদর্শন করে রিপোর্ট দিতে। সেটি দেখার পর বিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়াও তিনি জানান, এই অর্থ বছরের মধ্যেই বাকি কাজ গুলো করতে হবে। কাজ না করে বিল নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। প্রতিটি কাজ বুঝে পাওয়ার পর বিল প্রদান করা হবে।
মেপ্র/আজেএম