মেহেরপুর বিএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোঃ রোকন নামের এক ছাত্রের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া পারভীনের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, রোকন বিদ্যালয়ে ভর্তির পর থেকে ৪৫০ টাকা করে উপবৃত্তি পেয়ে আসলেও করোনাকালীন প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা মোতাবেক ১৮শ টাকা পাওয়ার সময় জোরপূর্বক উপবৃত্তির টাকা পাওয়ার মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করেন প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া পারভীন এমনই অভিযোগ রোকনের পিতা মোঃ তুহিনের।
রোকনের পিতা তুহিন অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলে রোকন শিশু শ্রেণি থেকেই বিএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে। প্রথম থেকেই আমি আমার ০১৯১৪ ৬৫৩৩৪১ নম্বরে ৪৫০ টাকা করে উপবৃত্তির টাকা পেয়ে আসছি। করোনাকালীন প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেন ছাত্রছাত্রীদের ১৮শ করে টাকা প্রদান করা হবে।
আমার মোবাইল নম্বর সচল থাকা সত্ত্বেও কোন অভিযোগ ছাড়াই আমার স্ত্রীকে অনেকটা বাধ্য করেই প্রধান শিক্ষক আমার মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করে আমার স্ত্রীর মোবাইল নম্বর দিতে বলেন। আমার স্ত্রী নম্বর পরিবর্তন করতে রাজি না হলেও আমার মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করে আমার স্ত্রীর মোবাইল নম্বর নেন প্রধান শিক্ষক।
জানতাম আমার নাম্বার বন্ধ বা সিম নষ্ট হয়ে গেছে বা অন্য কারও নম্বরে উপবৃত্তির টাকা নিচ্ছি সেক্ষেত্রে নম্বর পরিবর্তন করলে কোন সমস্যা ছিলো না। আমার ছেলের উপবৃত্তির টাকা আমার নম্বরে আসছে তাহলে কোন কারণে প্রধান শিক্ষক আমার নম্বর পরিবর্তন করলেন এটাই আমার প্রশ্ন।
আবার জানতাম আমার নম্বরের পরিবর্তে আমার স্ত্রীর নম্বরে টাকা আসছে সেটাও হয়নি। আমার একটাই প্রশ্ন কেন বা কোন কারণে আমার নম্বর পরিবর্তন করে উপবৃত্তির টাকা কাকে দেওয়া হলো।
তারপর থেকেই আমি বা আমার স্ত্রীর নম্বরে উপবৃত্তির টাকা আর আসেনি। ১৮শ টাকা তো পেলাম না যে ৪৫০ টাকা পেতাম সেটাও বন্ধ হয়ে গেছে। শুধু আমিই না আমার মতো অনেক অভিভাবক এমন পরিস্থিতির স্বীকার। যে কারণে আমি আমার ছেলের ছাড়পত্র নিয়ে অন্যত্র ভর্তি করেছি।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া পারভীন বলেন, নম্বর পরিবর্তনের সুযোগ থাকে। উপবৃত্তির বিল হওয়ার সময় উপরের নির্দেশনা আসে যদি কোন নম্বর পরিবর্তন করা লাগে পরিবর্তন করে দিতে হয়। কারণ অনেকেই বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনদের নম্বর দিয়ে থাকে। তিনি আরও বলেন, আমার বিল করা পর্যন্ত জানি। টাকা আমরা দেখিও না, ছুঁইও না, জানিও না।
নম্বর পরিবর্তন করেছেন কি না জানতে চাইলে নম্বর পরিবর্তনের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন বিল দেখে বলতে হবে। তবে উনারা যে অভিযোগ করেছেন তা মিথ্যা, ঠিক না।