গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে সবচেয়ে বেশি বিভ্রাটের কবলে কাটিয়েছে ফেইসবুক মালিকানাধীন ফটো শেয়ারিং অ্যাপ ইন্সটাগ্রাম। আর সবচেয়ে কম সময় বিভ্রাটের কবলে ছিল মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার।
সবমিলিয়ে ২১ হাজার ৬৮৭টি বিভ্রাটের রিপোর্ট পেয়েছে ইন্সটাগ্রাম। আর টুইটার বিভ্রাটে রিপোর্ট এসেছে ১৫ হাজার ৯৫২টি। মঙ্গলবারের এক প্রতিবেদনের বরাতে জানা গেছে তথ্যগুলো সম্পর্কে। — খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আইএএনএস’র।
গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে প্রায় ৩০ মিনিট বিভ্রাটের কবলে ছিল টুইটার। ওই সময়ে টুইট, রিটুইট, টুইটে লাইক দেওয়া এবং অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করার মতো কাজগুলো করতে পারেননি টুইটার ব্যবহারকারীরা। নভেম্বরের ২৮ তালিখ এসে বিভ্রাটের কবলে পড়েছিল ফেইসবুকও। সবমিলিয়ে ওই বিভ্রাটের রিপোর্ট এসেছে ১২ হাজার ৭২৬টি। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন ব্যবহারকারীরা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রাট হওয়ার এই বিষয়গুলো নিয়ে সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ডাউনডিক্টেটর। বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্ম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভ্রাটের খবর রাখা ডাউনডিক্টেটরের অন্যতম কাজ।
“ফেইসবুক ও ইন্সটাগ্রাম মিলিয়ে মোট ৩৪ হাজার ৪০৮ জন ব্যবহারকারী বিভ্রাটের শীর্ষের সময়টিতে রিপোর্ট করেছেন।” বিভ্রাটের কবলে ফেইসবুকের মেসেঞ্জার অ্যাপও পড়েছিল। এমনকি গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে রেহাই পায়নি স্ন্যাপচ্যাটও।
স্ন্যাপচ্যাট বিভ্রাটের সময়টিতে টুইটারে রীতিমতো ‘স্ন্যাপচ্যাটডাউন’ হ্যাশট্যাগ চালু হয়ে তা ট্রেন্ডিংয়ে চলে এসেছিল। সবমিলিয়ে ১৮ হাজার ২৫২ জন ব্যবহারকারী বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট করেছিলেন।
আরো পড়ুন-অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারে যৌনজীবনে যে ক্ষতি!