প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলতে গিয়েই পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।
সোমবার নিউজিল্যান্ডের হ্যামিল্টনের সিডন পার্কে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২৩৪ রান করে বাংলাদেশ দল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭১ রান করেন ফারজানা হক। ৪৬ ও ২৪ রান করে করেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা ও শারমিন আক্তার।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে ফাহিমা খাতুন ও রুমানা আহমেদদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২৫ রানে ইনিংস গুটায় পাকিস্তান। ৯ রানের ঐতিহাসিক জয় পায় বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।
বিশ্বকাপের মঞ্চে নারী ক্রিকেট দলের ঐতিহাসিক জয়ের পর বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল বলেন, খুবই ভালো লাগছে। মেয়েরা সবসময়ই ভালো খেলছেন। মেয়েরা কিন্তু প্রথম এশিয়া কাপ জিতেছিল ভারতকে হারিয়ে। এবার বিশ্বকাপে প্রথম জয় পেলেন পাকিস্তানের সাথে। আমরাও ১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারিয়েছিলাম।
সোমবার মিরপুরে সংবাদমাধ্যমকে আশরাফুল আরও বলেন, ওরা আরও ভালো কিছুর যোগ্য। বিশ্বকাপের প্রথম জয় সৌভাগ্যের বিষয়। তাও পাকিস্তানের মতো দলকে হারিয়ে। যারা ম্যানেজমেন্টে আছেন এবং খেলেছেন সবাইকে অভিনন্দন। আশা করব এ জয়ের পর মেয়েদের ক্রিকেটের কাঠামো আরও ভালো হবে।
টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়া আশরাফুল আরও বলেন, যেহেতু মেয়েরা টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়েছে, তাদের ঘরোয়া ক্রিকেট আরও ভালো করতে পারলে আরও ভালো ক্রিকেটার বের হয়ে আসবে। তারা যেন নিয়মিত খেলতে পারে। যেহেতু টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়েছে, তারা কবে টেস্ট খেলবে সেটার পরিকল্পনা করা উচিত। ঘরোয়া ক্রিকেটেও চার দিনের ম্যাচ খেলে যেন টেস্টের জন্য তৈরি থাকে বোর্ডের সেই চিন্তা করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি প্রত্যেক ম্যাচই তারা ভালো করেছে। আশা করব বাকি ম্যাচগুলোতেও তারা ভালো খেলবে। ফলাফল তো পরের বিষয়। যেভাবে খেলছে এভাবেই যেন খেলে। নারী দলের অভিজ্ঞতা আছে। এই দলে পাঁচজন অধিনায়ক আছে। অভিজ্ঞতা যে প্রভাব রাখে সেটা আজকে দেখা গেছে। আশা করব সামনের ম্যাচগুলোতেও ভালো ক্রিকেট খেলবে।