বিয়ের প্রলোভন দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ ও ফুসলিয়ে জমি লিখে নেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে প্রতারক জমির হোসেনের (৫৫) বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নাটাবাড়ীয়া গ্রামে। আজ বুধবার বিকালে ভুক্তভোগী নারী ও তার স্বজনরা নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান।
ভুক্তভোগী নারী লিখিত বক্তব্যে জানান, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নাটাবাড়ীয়া গ্রামের মৃত মনে মন্ডলের ছেলে জমির হোসেন ও তার সহযোগী মৃত ভাগাই মন্ডলের ছেলে কামাল হোসেন ( ৫০) দীঘদিন যাবৎ আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ২৬ জানুয়ারী তারিখে ঝিনাইদহ জজ কোর্টে নিয়ে কাবিন নামায় স্বাক্ষর করার কথা বলিয়া আমার নামের নাটাবাড়ীয়া মৌজার ১৩ শতক জমি জমির হোসেনের নামে লিখিয়া নেয়।
তারপর আমাকে ঢাকায় নিয়ে যেয়ে অজ্ঞাত স্থানে রেখে দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক করতে থাকে। পরে আমি বিষয়টি বুঝতে পেরে বিবাহের কথা বললে আমাকে রেখে কামাল হোসেন সহায়তায় জমির পালিয়ে যায় এবং দীর্ঘদিন আমার কোন খোজ খবর নেয় না।
তিনি আরও বলেন গত ২০ মে আমি বহু কষ্টে ঢাকা থেকে গ্রামে ফিরে এসে গ্রামে বসবাস করতে থাকি এ অবস্থায় জমির হোসেন ও তার সহযোগী কামাল এর সন্ত্রাসী বাহিনী আমাকে বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরণের হুমকী ধামকী দিয়ে আসছে। এমনকি আমি বাড়ী না ছাড়লে আমার ছেলে মেয়েদেরসহ আমাকে জানে মেরে ফেলার হুমকী দিচ্ছে। বিষযটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে তুলে ধরার জন্য তিনি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন বলেও জানান।
এবিষয়ে তিনি গত ৬ জুলাই ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। থানার দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শন কর্মকর্তা বলেন, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি বিষটি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
স্থানীয় ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানান অতি দরিদ্র পরিবারে মেয়ে সুফিয়া বেগম এই জমিটুকুই তার সম্বল। প্রতারক জমির হোসেন ফুসলিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার শেষ সম্বলটুকুও লিখে নিয়েছে। তারা আরও বলেন, এই প্রতারক জমির হোসেন এর আগেও ৫/৬টি বিয়ে করেছে এটা তার এক ধরণের ব্যবসা। বিষয়টি তদন্ত করে জমির হোসেন ও তার সহযোগী কামালকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।