বুদ্ধির জোরে মোটরসাইকেল থেকে ঝাঁপ দিয়ে অপহরণকারীদের হাত থেকে প্রাণে বাঁচলো পারভেজ (১২) নামের এক শিশু।
পারভেজ গাংনী উপজেলার আযান গ্রামের স্কুল পাড়া এলাকার ফারুক হোসেনের ছেলে ও গাংনী বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী কাজল বস্ত্রালয়ের কর্মচারী।
আজ শনিবার (১৫ জানুয়ারী) রাত সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পারভেজ হোসেন জানায়, এশার আযানের আগে আকাশ নামের দোকানের অপর কর্মচারীর স্যান্ডেল খোঁজার জন্য দোকানের বাইরে আসি। গাংনী শহরের আমিরুল মার্কেটের সামনে হঠাৎ একজন বৃদ্ধ লোক বাবু শোনো তো বলে আমাকে ডাক দেই।আমি তার ডাকে সাড়া দিয়ে কাছে যেতেই আমাকে মুখ চেপে ধরে মুখের মধ্যে রুমাল গুঁজে দিয়ে চোখ চেপে ধরে মোটরসাইকেলে তুলে ফেলে।ওখানে তারা চারজন ছিল।মোটরসাইকেলে তুলে নিয়েই তারা হাসপাতাল বাজারের দিকে রওনা দেই। হাসপাতাল বাজারে এসে পেছন থেকে একজন নেমে যায়।আমাকে পেছনে বসে থাকা লোকটি মুখ চেপে ধরে রাখে। বাঁশবাড়িয়ার মধ্যে এসে কলোণী রাস্তায় মোড় নিয়ে সাহারবাটির দিকে রওনা দেই। হঠাৎ কিছু লোককে মাঠের মধ্যে দেখে আমি জোরে চিৎকার দিয়ে উঠি চিৎকার দেওয়া সাথে সাথে মোটারসাইকেল স্লো হয়ে গেলে আমি ঝাঁপ মারি।
স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমাদের এখানে কিছু ছেলে মাঠের ওদিক থেকে হেঁটে আসছিলেন।হঠাৎ ছেলেটি চিৎকার করে বাঁচানোর জন্য বলে। পরে ওই যুবকরা তাড়া করে মোটরাসইকেল আরোহী দুজনের সাথে ধস্তা ধস্তি হয়।পরে তাদের আটকানোর চেষ্টা করে।তখন তারা এদের হত্যার হুমকী দিলে যুবকরা পিছু হটে। এসময় তারা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা পারভেজকে উদ্ধার করে গাংনী থানা পুলিশকে খবর দেন।পরে গাংনী থানা পুলিশের একটি টীম ঘটনাস্থলে পৌছে শিশুটিকে উদ্ধার করেন।
গাংনী থানার উপপরিদর্শক শাহিন জানান, শিশুটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য গাংনী হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।