মেহেরপুরে স্বাস্থ্য বিভাগের নির্ধারিত ৬৯ টিকাদান কেন্দ্রে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বৈশ্বিক মহামারি করোনা প্রতিরোধে বুস্টার ডোজ (তৃতীয় টিকা) নিলেন স্থানীয়রা।
আগের মত প্রথম বা দ্বিতীয় ডোজ টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে যে ভিড় ছিল, সেই ভিড় বুষ্টারডোজে দেখা মেলেনি। স্বস্তিতে বুষ্টার নিয়ে হাসিমুখেই বাড়ি ফিরছেন তারা।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, মেহেরপুর জেলার তিনটি উপজেলায় ৬৯ টি টিকা কেন্দ্রে এই টিকাদান কার্যক্রম চলছে। প্রতিটি টিকাকেন্দ্রে ২ জন টিকাদানকারী ও তিনজন করে স্বেচ্ছাসেবি কাজ করছেন।
সরেজমিন গাংনীর তেরাইল গ্রামের টিকাদান কেন্দ্রে দেখা গেছে, সকাল সাড়ে ৯টার দিকেই অর্ধাশতাধিক নারী, পুরুষ এসেছেন টিকা নিতে। তবে, এই টিকাদান কেন্দ্রে লক্ষ করা গেছে টিকার প্রথম দুই ডোজ গ্রহণের প্রমাণপত্র (কার্ড, ফরম) ছাড়াই এসেছেন অনেকেই।
তেরাইল গ্রামের বিথী ও সাকিব জানান আমরা এর আগে দুটি ডোজ নিয়েছি। আজকে বাড়ির কাছে বুষ্টার ডোজ দিচ্ছে। তাই সহজেই এটা নিয়ে নিলাম।
মেহেরপুর শহরের স্টেডিয়ামপাড়ার টিকাদান কেন্দ্রে টিকা দিলেন সদর উপজেলার বামনপাড়া এলাকার গৃহবধু মরিয়ম নেছা, শহরের হালদারপাড়া এলাকার যুবক নাইম রহমান, বোষপাড়ার সুজন কর্মকার।
টিকা গ্রহণকারী মোছাঃ মরিয়ম বলেন, সরকারের নির্দেশ। তাই আগ্রহের সাথেই বুস্টার ডোজ দিতে আসলাম। ডোজ দিতে কোনো প্রকারের অসুবিধা হয়নি। এর আগের ডোজগুলোও যথা সময়ে দিয়েছি এবং বুস্টার ডোজটাও যথা সময়ে দিলাম।
টিকা নিয়ে খুশি বাওট গ্রামের সাহাবুল ইসলাম (৫৫)। তিনি জানালেন, আজ মঙ্গলবার আমার স্ত্রী চাইনা খাতুন ও ছেলেসহ ৪ জন এই টিকা নিলাম। তারা সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদও জানান।
গাংনী শহরের আরজ আলী বলেন, বিশ্বজুড়ে বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও তিনটি করোনা প্রতিরোধী টিকা নিতে পেরেছি।
টিকা গ্রহীতার সংখ্যা কম হওয়া প্রসঙ্গে গাংনীর ইপিআই টেকনিশিয়ান আব্দুর রশিদ বলেন, ইতোমধ্যে অনেকেই বুস্টার ডোজ নিয়ে ফেলেছেন। তাই টিকা মানুষের দৌরগোড়ায় পৌছে গেলেও আগ্রহ কমে গেছে, হয়তো এজন্যই ভিড় কম। দিনব্যাপী টিকা কার্যক্রম চলবে।
মেহেরপুর সিভিল সার্জন ডাক্তার মো: জওয়াহেরুল আনাম সিদ্দীকি বলেন, দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের ৪ মাস পার হলেই ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী সবাই করোনার টিকার বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। সরকার ঘোষিত বুষ্টার ডোজ দিবসে জেলায় ১৫ হাজার মানুষকে এ কার্যক্রমের আওতায় টিকা দেওয়ার লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে।