কুষ্টিয়ায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে, স্বাস্থ্যবিধি মানতে সাত সকালে, কিংবা ভর দুপুরে অথবা পড়ন্ত বিকেলে এভাবেই শহরের প্রতিটি প্রান্তর পরিদর্শন করছেন। তিনি জনসাধারণকে ঘরে রাখতে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে শতভাগ সফল পু্লিশ সুপার খাইরুল।
এদিকে সরকারের কঠোর লকডাউন মানাতে কুষ্টিয়ায় নজিরবিহীন সৃষ্টি করেছেন এই পুলিশের কর্তাব্যাক্তি। বৃষ্টির মধ্যেও তিনি থেমে নেই। শহরের এ প্রান্তর থেকে ও প্রারন্তর পর্যন্ত তিনি ছুটে বেড়িয়েছেন কেবল মানুষকে ঘরে থাকার জন্য। বিগত সময়ে তিনি যে শ্রম দিয়েছেন, ঘাম ঝরিয়েছেন আজ দেশব্যাপী কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনেই এর সফলতা দেখা যাচ্ছে কুষ্টিয়া জেলাব্যাপী। বিগত দিনগুলিতে তিনি নিজে শহর থেকে গ্রামে ছুটেছেন।
প্রতিটি থানা, পুলিশ ক্যাম্প এবং বীট পুলিশিংকে শতভাগ কাজে লাগিয়েছেন। মিরপুরে স্থাপন করেছেন কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের আধুনিক পুলিশ ব্যারিকেড। শহর থেকে গ্রামগুলোকে সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে দেন পুলিশ সুপার খাইরুল আলম। ফলে স্বাভাবিকভাবে সড়কে লোক যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়।
জননেতা মাহবুবউল আলম হানিফ এমপির আহবানে জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলাম এবং পুলিশ সুপার খাইরুল আলমের নেতৃত্বে এই জেলায় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, সামাজিক, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, গণমাধ্যমের সাথে এক চমৎকার যোগসূত্র তৈরীর মাধ্যমে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে ঐক্যতান সৃষ্টি হয়েছে। যার শতভাগ ফল পাচ্ছে জেলাবাসী। কমতে শুরু করেছে করোনা শনাক্ত ও মৃত্যুর হার।
একদিকে হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল ঘোষণা, একের পর এক অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ, জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ভার্চুয়াল সভার মাধ্যমে চিকিৎসক, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, জেলা পরিষদ, জেলা আওয়ামীলীগ, সকল উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সকলকে উজ্জীবিত এবং দিক নির্দেশনা দিয়েছেন অপরদিকে পুলিশ সুপারের পৃথক ভার্চুয়াল সভায় যুক্ত হয়ে লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ সদস্যদের শক্তি ও সাহস যুগিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জননেতা মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি।
কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেন, কুষ্টিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব সুলতানা আফরোজ স্যারও ভার্চুয়াল সভার মাধ্যমে আমাদের নানা রকম পথনির্দেশ দিয়েছেন। জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ কাধে কাধ মিলে নিরলসভাবে কাজ করছে। গণমাধ্যমকর্মীরা লেখনীর মাধ্যমে আমাদের উৎসাহিত করেছেন, মাঠে ময়দানে সঙ্গ দিয়েছেন। কুষ্টিয়ার মানুষকে করোনার মহাদূর্যোগ থেকে বাঁচানোই এখন জেলা পুলিশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।