বৃহস্পতিবার থেকে আবারও লকডউন পশ্চিমবঙ্গে
লকডাউন শিথিল করায় ভারতে বুলেটের গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস।
করোনার এই বিস্তার ঠেকাতে আবারও লকডাউনে যাচ্ছে দেশটির বিভিন্ন রাজ্য। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে সপ্তাহে দুদিন লকডউন কার্যকরের সিদ্ধান্ত হয়েছে। খবর আনন্দবাজারের।
মঙ্গলবার সেই লকডাউনের সরকারি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে রাজ্যের কর্তৃপক্ষ। কার্যত পুরনো রূপেই ফিরল নতুন পর্বের লকডাউনের নিয়ন্ত্রণবিধি।
সপ্তাহে দুদিন করে লকডাউন ঘোষণা করেছে রাজ্যসরকার। গত মার্চে লকডাউনের শুরুতে যেমন নিয়ন্ত্রণবিধি কার্যকর হয়েছিল, এই পর্বে গতিবিধিতে তেমন কড়াকড়ি ফিরিয়ে আনল রাজ্য।
নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, গত ৯ জুলাই থেকে শুরু হওয়া বৃহত্তর কন্টেনমেন্টভিত্তিক লকডাউন যেমন চলছিল, তেমনই চলবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত।
১৫ জুলাই থেকে শহরভিত্তিক লকডাউন পদ্ধতিও চালু থাকবে। এর সমান্তরালে সপ্তাহে দুদিন করে গোটা রাজ্যে সার্বিক লকডাউন কার্যকর হচ্ছে।
আগামীকাল বৃহস্পতি ও শনিবার সার্বিক লকডাউন হবে। লকডাউনের দিন ভোর ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কার্যকর থাকবে।
তা ছাড়া প্রতিদিন রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যে নিয়ন্ত্রণ ছিল, তা বহাল থাকবে।
প্রসঙ্গত লখনৌসহ গোটা উত্তরপ্রদেশে সপ্তাহে দুদিন করে লকডাউন হচ্ছে। জম্মুতেও সম্প্রতি তা শুরু হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে বুধবার পর্যন্ত চলছে সাত দিনের লকডাউন।
রাজ্যজুড়ে লকডাউনের দিনগুলোতে সরকারি ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। এমনকি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি পরিবহনও চলবে না।
তবে স্বাস্থ্যকর্মী, ওষুধের দোকান, আইনশৃঙ্খলা, সংশোধনাগার, দমকল, বিদ্যুৎ, আন্তঃরাজ্য ও আন্তঃরাজ্য পণ্য পরিসেবা, সংবাদমাধ্যম, রান্না করা খাবারের হোম ডেলিভারির ক্ষেত্রে ছাড় দেয়া হয়েছে।
পাশাপাশি ছাড় দেয়া হয়েছে শিল্প উৎপাদন প্রক্রিয়ায়। যেসব কারখানায় শ্রমিকরা থেকে কাজ করতে পারেন, সেগুলোকেও নিয়ন্ত্রণের আওতায় রাখা হয়নি।
চা বাগানের কাজও নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে। সামগ্রিকভাবে বাজার এলাকাগুলো, যেখানে জনসমাগম বেশি- সেগুলো বন্ধ থাকবে লকডাউনের দিনগুলোতে।