আলমডাঙ্গার বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান চঞ্চলের বিরুদ্ধে মিমাংসার নামে নারীকে শ্লীলতাহানি ও পুলিশ সদস্যকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে।
মারপিটের ঘটনায় ওই নারী বাদি হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সোমবার পর্যন্ত এ মামলায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি গ্রামের মৃত মোজাম আলীর স্ত্রী ছাবিনা খাতুনের সাথে একই গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে আব্দুল ওহাবের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে।
গত শনিবার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান চঞ্চল মীমাংসা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদে আসতে বলে। সাবিনা খাতুন তার বোনের ছেলে পুলিশ সদস্য সাব্বিরকে সাথে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে যায়।
তাদের যাবার পূর্বে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের লোকজন ওখানে উপস্থিত থাকে। ফরিদপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য বিপ্লব, ডামোশ গ্রামের মিনারুল ও বেলগাছি গ্রামের শাহিন বিচার করে দেওয়ায় কথা বলে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে তারা অনিহা প্রকাশ করে। এতে সাবিনা ও পুলিশ সদস্য সাব্বিরের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। চেয়ারম্যানের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে সাবিনা ও সাব্বিরকে রুমে আটকে রেখে মারপিট করে।
এ ঘটনায় পুলিশ সদস্য তার আহত খালাকে সাথে নিয়ে দুপুরে আলমডাঙ্গা থানায় উপস্থিত হয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে রাতে সাবিনা খাতুন বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
আলমডাঙ্গা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, সালিশের নামে মহিলাকে শ্লীলতাহানি ও পুলিশ সদস্যকে মারপিটের ঘটনায় ৭ জনের নামে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। অভিযান চলছে।