ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) ১৯তম ম্যাচে শক্তিশালী দল আবাহনীকে হারিয়ে দিয়েছে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি।
সোমবার বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে।
এ লড়াইয়ে মুশফিককে হারিয়েছেন জহুরুল ইসলাম।
টস জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান সংগ্রহ করে খেলাঘর। জবাবে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান তুলতেই ২০ ওভার ফুরিয়ে যায় আবাহনীর।
ফলে ৮ রানে জয় পেল খেলাঘর।
ম্যাচে শুধু হারই নয়, হাফসেঞ্চুরির আক্ষেপে পুড়েছেন জাতীয় দল থেকে সদ্য বাদ পড়া তারকা ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত ও আবাহনীর ওপেনার ইমতিয়াজ।
দুজনেই আউট হয়েছেন ৪৯ রানে।
খেলাঘরের ১৬৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই শূন্য রানে আউট হন ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার।
দলীয় সংগ্রহ ১২ রান হতেই আউট হয়ে যান মুশফিকুর রহিম। ৫ বলে ৮ রান করে রনি চৌধুরির বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি।
দলের সেরা ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে আবাহনী। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও মিডল অর্ডারি ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত।
দুজনেই খেলেন ৪৯ অনবদ্য দুটি ইনিংস। ব্যাটে ঝড় তুলে জয়ের লক্ষ্যেই ছুটতে থাকেন শান্ত ও নাঈম।
তবে ১৩তম ওভারে এসে ৫৯ বলে ৮৫ রানের এ দুরন্ত জুটি ভাঙেন রাফসান আল মাহমুদ।
মাত্র ১ রানের জন্য ফিফটি বঞ্চিত হন শান্ত। ৭ চার ও ১ ছক্কার মারে ৩৩ বলে ৪৯ রান করে ফেরেন শান্ত। একটু পর একইভাগ্য বরণ করেন নাঈমও।
খালেদ আহমেদের বলে বোল্ড হওয়ার আগে নাঈমের ব্যাট থেকেও আসে ৪২ বলে ৪৯ রান। এতে তিনটি বাউন্ডারি ও একটি ছয়ের মার রয়েছে।
শান্ত ও নাঈমের আউটের পর দলকে লক্ষ্যে পৌঁছিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো ইনিংস খেলেননি আর কেউ।
শেষ পাঁচ ওভারে ৪৮ রান প্রয়োজন পড়ে আবাহনীর। তা সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয়েছেন জাতীয় দলের দুই অলরাউন্ডার আফিফ ও মোসাদ্দেক।
শেষ বলে খালেদ আহমেদের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন মোসাদ্দেক। তার ১৯ বলে ২১ রান ও আফিফ অন্যপ্রান্তে ১৮ বলে ২২ রান জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি।
ফলে ৮ রানে হেরে প্রথম পরাজয়ের স্বাদ গ্রহণ করে পয়েন্ট টেবিলের চার নম্বরে নেমে গেল মুশফিকের দল।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দারুণ সূচনা করে খেলাঘরের দুই ওপেনার ইমতিয়াজ হোসাইন ও রাফসান আল মাহমুদ। প্রথম চার ওভারে ৪২ রানের জুটি গড়েন। তাদের এই দুর্দান্ত জুটি ভাঙেন আরাফাত সানি।
নাঈম শেখের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১২ বলে ১৮ রান করে রাফসান আল মাহমুদ।
রাফসানের আউটের পর জাতীয় দলের অন্যতম তারকা মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে ৬২ রানের জুটি গড়েন ইমতিয়াজ।
ব্যক্তিগত ৩৩ রানের মাথায় মোসাদ্দেক হোসেনের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে স্ট্যাম্পিং হন মিরাজ। ৪টি চার ও এক ছক্কায় ২৫ বলে ৩৩ রান করে ফেরেন তিনি।
ইনিংসের ১৬তম ওভারে বিদায় নেন ইমতিয়াজ। তাকেও আউট করেন মোসাদ্দক। বোল্ড হওয়ার আগে ৪৫ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন খেলাঘরের এই ওপেনার। তার এই ইনিংসে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কার মার ছিল।
স্লগ ওভারে সাদ্দাম হোসেনের ৯ বলে ১৩ রান করলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৪ রান জমা করে খেলাঘর।
আবাহনীর পক্ষে মোসাদ্দেক ও সানি দুটি করে উইকেট লাভ করেছেন। ৬৬ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন ইমতিয়াজ হোসাইন।