করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সর্বশেষ খবর জানাতে এসে বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) ‘ভুল তথ্য’ উপস্থাপন করায় দুঃখ প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নিয়মিত অনলাইন সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম শাখার প্রধান হাবিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পেয়েছি। মহাপরিচালক মহোদয় দেশের সব বিভাগের পরিচালকদের জানিয়েছেন, প্রতিটি উপজেলা থেকে অন্তত ২টা করে নমুনা পাঠাতে হবে। আগামীকাল অন্তত এক হাজার নমুনা পরীক্ষা করা হবে।’
বাংলাদেশে সন্দেহভাজন রোগীদের পরীক্ষা কম হচ্ছে বলে সমালোচনার প্রেক্ষাপটে ওই কথা বলেছিলেন তিনি। তবে হাবিবুরের ওই কথাটি সঠিক নয় বলে রাতে গণমাধ্যমে চিঠি পাঠিয়ে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা। তার চিঠিতে বলা হয়, ‘আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে ভুলক্রমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রতিটি উপজেলায় ২টি করে কোভিড-১৯ পরীক্ষার নমুনা পরীক্ষার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছিল। সূত্র- বিডি ২৪ লাইভ ডটকম
প্রকৃতপক্ষে গত ১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিভিন্ন চিকিৎসক পেশাজীবী সংগঠন এবং স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিবর্গের উপস্থিতিতে একটি সভায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কোভিড-১৯ পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এর ফলে দেশের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সম্পর্কে অধিকতর ধারণা সৃষ্টি হবে মত প্রকাশ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রম গৃহীত হয়। বিষয়টি সঠিকভাবে উপস্থাপন না হওয়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগরীর ৯টি এবং ঢাকার বাইরে ৫টি আরটি-পিসিআর পরীক্ষা কেন্দ্র সচল ছিল। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর বাইরে ৪০টি জেলার সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী ২৬৭টি নমুনা সংগৃহীত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন পিসিআর পরীক্ষা কেন্দ্র ১০০টি নমুনা সংগ্রহ করছে। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান -আইইডিসিআর পৃথকভাবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ১০০টি নমুনা সংগ্রহ করেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বাকি ২৪টি জেলার নমুনা সংগ্রহের তথ্য সন্ধ্যা নাগাদ তাদের হাতে আসেনি। দুপুরেরি ব্রিফিংয়ে দেশে আরও দুজনের মধ্যে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা জানানো হয়েছিল, যাদের নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫৬ জন। নতুন করে কারও মৃত্যুর তথ্য না আসায় বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এ মৃতের মোট সংখ্যা আগের মতোই ৬ জনে রয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ২৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন