ফটোশপের নির্মাতা কোম্পানি অ্যাডোবি এমন ভবিষ্যত্-বান্ধব ‘ডিজিটাল পোশাক’ উন্মোচন করেছে, যেখানে কেবল একটি বাটনে ক্লিক করার মাধ্যমেই এর পৃষ্ঠে থাকা বিভিন্ন ‘প্যাটার্ন’ বদলাতে পারবেন পরিধানকারী।
ব্রিটিশ সংবাদপত্র ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘প্রজেক্ট প্রিমরোজ’ নামের প্রকল্পের অধীনে পুঁতির তৈরি পোশাকটি বানিয়েছে অ্যাডোবি। আর তরলকৃত ক্রিস্টালের মাধ্যমে তৈরি হয়েছে এর ‘রিফ্লেক্টিভ লাইট- ডিফিউজার মডিউল’। সাধারণত স্মার্ট লাইটিং ব্যবস্থায় এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর পুঁতিগুলো আসলে একেকটি ছোট স্ক্রিন, যেখানে ব্যবহূত হয়েছে স্মার্ট কাঁচামাল।
গত সপ্তাহে অ্যাডোবি’র আয়োজিত ‘ম্যাক্স’ সম্মেলনে দর্শকদের এই পোশাকের প্রথম ঝলক দেখানো হয়। আর একে ‘প্রাণবন্ত ফেব্রিক’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে সফটওয়্যার কোম্পানিটি। ফিতাবিহীন পোশাকটি পরে সবার সামনে এসেছেন অ্যাডোবির গবেষক ক্রিস্টিন ডিয়ের্ক। প্রথম ঝলকে একে সাধারণ ‘ককটেল ড্রেসের’ মতো দেখালেও রিমোটের বাটনে চাপ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এর স্তরগুলো বদলাতে থাকে। ‘গতানুগতিক পোশাকের মতো এটি স্থির নয়। কয়েক মুহূর্তের জন্য আমার লুক সতেজ করার সুযোগ দিয়েছে প্রিমরোজ। এর রং মুহূর্তেই উজ্জ্বল থেকে কালো হতে পারে’ সেটির নমুনা দেখানোর সময় এ কথাগুলো বলেন অ্যাডোবি’র ওই বিজ্ঞানী।
তিনি আরও বলেন—‘নতুন ধাঁচের এ পোশাকে ব্যবহূত হয়েছে প্রতিফলনযোগ্য ‘পলিমার-ডিস্পার্সড লিকুইড ক্রিস্টাল’ বা ‘পিডিএলসি’ নামের উপাদান, যেটি সাধারণত ‘স্মার্ট উইন্ডো’তে ব্যবহার করা হয়। এ উপাদান নিজেকে যেকোনো আকারে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি আলো নিয়েও খেলতে পারে। ডিজাইনাররা ক্লোদিং, ফার্নিচার এমনকি অন্যান্য ক্ষেত্রেও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারেন, যা ফ্যাশন জগতে অপার সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে। এর মধ্যে রয়েছে নকশা ডাউনলোড করার এমনকি নিজ পছন্দের ডিজাইনারের সর্বশেষ নকশা ব্যবহারের সুবিধাও। আমরা আশা করি, এই কাজ ফ্লেক্সিবল ডিসপ্লে নিয়ে কাজ করা ডিজাইনারদের ভবিষ্যতে অনুপ্রাণিত করবে।’