ভারত ও শ্রীলংকার মধ্যকার ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালটি পাতানো ছিল। ভারতের কাছে বিশ্বকাপ বেচে দিয়েছে শ্রীলংকা।
শ্রীলংকার সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী মাহিন্দানন্দা আলুথগামাগের এমন মন্তব্যে তোলপাড় ক্রিকেটাঙ্গন।
সেই ম্যাচ নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন তুলে আসছিলেন শ্রীলংকার ’৯৬ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গা। ওই ম্যাচে ধারাভাষ্য দিয়েছিলেন তিনি।
৯ বছর পর ফের ম্যাচটি নিয়ে ফিক্সিংয়ের আঙুল তোলায় চটেছেন ওই ম্যাচে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা কুমার সাঙ্গাকারা ও সেঞ্চুরি ইনিংস খেলা মাহেলা জয়াবর্ধনে।
মাহেলা জয়াবর্ধনে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে।
তিনি লিখেছেন, ‘নির্বাচন কি কাছে চলে এসেছে? মনে হচ্ছে সার্কাস শুরু হয়ে গেছে। নাম ও প্রমাণ হাজির করুন।’
জয়াবর্ধনের টুইটের জবাবে সাঙ্গাকারা লিখেছেন– ‘আইসিসি এবং এন্টিকরাপশন ও সিকিউরিটি ইউনিটের কাছে আমাদের সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রীর প্রমাণ হাজির করতে হবে, যাতে করে এ অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে তদন্ত করা যায়।’
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে ওই ম্যাচে ৬ উইকেটে ২৭৪ রানের লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করায় শ্রীলংকা। মাহেলা জয়াবর্ধনে ৮৮ বলে ১০৩ রানের ঐতিহাসিক এক ইনিংস খেলেন।
৩০০ থেকে ২৫ রানের কম টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল।
দলের সেরা খেলোয়াড় শচীন টেন্ডুলকারকে মাত্র ১৮ রানেই হারিয়ে ফেলেন তারা।
দ্রুত বীরেন্দ্রর শেবাগকেও সাজঘরে ফেরেন। কিন্তু হঠাৎ করেই লংকানদের বাজে বোলিং আর ফিল্ডিংয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় ভারত।
গৌতম গম্ভীরের ৯৭ আর অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির হার না মানা ৯১ রানের ইনিংসে ৬ উইকেটের জয়ে শিরোপা নিশ্চিত করেন ম্যান ইন ব্লুরা।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস, টুইটার