বেশি লক্ষ্য তাড়া করে জেতার কীর্তি টেস্টের প্রায় ১৫০ বছর আর দুই হাজার ৪৭০ ম্যাচের ইতিহাসে ঘটেছে মাত্র আটবার, তাতে একবারও লেখা নেই ইংলিশদের নাম। এবার সেই রেকর্ডের পথে ইংল্যান্ড।
সাবলীল ব্যাটিংয়ে সেটিই রীতিমতো মামুলি বানিয়ে ছেড়েছে বেন স্টোকসের বদলে যাওয়া ইংল্যান্ড। বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলিং লাইনআপকে রীতিমতো ধসিয়ে চতুর্থ দিনের ৫৭ ওভারেই তুলে ফেলেছে ২৫৯ রান। তাতে রেকর্ডগড়া জয় থেকে মাত্র ১১৯ রান দূরে চলে এসেছে দলটি।
আর এই জয়ের জন্য সম্ভাব্য সবটুকুই করেছেন ভারতের ব্যাটসম্যানরা। ইংল্যান্ডকে ছুড়ে দিয়েছেন ৩৭৮ রানের বিরাট চ্যালেঞ্জ। চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করে এই রানের লক্ষ্যে পৌঁছানো কঠিন। কিন্তু কঠিন কাজটা প্রায় সহজ করে দিল ইংল্যান্ডের টপ অর্ডার। রীতিমতো ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং করে জয়ের আশা নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করল তারা।
পঞ্চম টেস্টে জিততে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের দরকার ১১৯ রান। আর ২০০৭ সালের পর ইংলিশদের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিততে ভারতকে নিতে হবে ৭ উইকেট। প্রায় এক বছর ঝুলে থাকা সিরিজে ভারত এগিয়ে আছে ২-১ ব্যবধানে। সিরিজ বাঁচাতে স্বাগতিকরা যেভাবে ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং শুরু করেছিল, মনে হচ্ছিল চতুর্থ দিনেই বুঝি জিতে যাবে তারা।
এজবাস্টন টেস্টে ভারতের প্রথম ইনিংস থেমেছে ৪১৬ রান। জবাব দিতে নেমে ইংলিশরা গুটিয়ে যান ২৮৪ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত জমা করে ২৪৫ রান। কিন্তু জয়ের জন্য ভালো পুঁজি পেলেও তা আগলে রাখাটা কঠিন হয়ে যাচ্ছে ভারতীয় বোলারদের জন্য। রান তাড়ায় বিধ্বংসী শুরু করেন স্বাগতিক দুই ওপেনার অ্যালেক্স লিস ও জ্যাক ক্রলি।
উদ্বোধনী জুটিতে ১০৭ রান যোগ করেন তারা। ২২তম ওভারে জুটি ভাঙতেই ছন্দপতন হয় ইংল্যান্ডের। দুই রানের ব্যবধানে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। লড়াইয়ে ফিরে আসে ভারত। ৭৬ বলে ৪৬ রান করে জাসপ্রিত বুমরাহর বলে বোল্ড হন ক্রলি। একটু পর দুর্ভাগ্যবশত রান আউট হন তার সঙ্গী লিস।
৬৫ বলে ৫৬ রানে আউট হন লিস। দুই ওপেনারের মাঝে অলি পোপকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান বুমরাহ। কঠিন ধাক্কা ইংল্যান্ড সামলে ওঠে জো রুট ও জনি বেয়ারস্টোর ব্যাটে। দিনশেষে ১১২ বলে ৭৬ রানে অজেয় থাকেন রুট। ৮৭ বলে ৭২ রানে অপরাজিত বেয়ারস্টো। এই দুজনের ১৫০ রানের জুটি ভারতকে প্রায় ম্যাচ থেকেই ছিটকে দিয়েছে।
মঙ্গলবার পঞ্চম ও শেষ দিনে অতিনাটকীয় কিছু না ঘটলে এজবাস্টন টেস্টে জয় হচ্ছে ইংল্যান্ডেরই।