মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি সারাবিশ্বের জন্যই বড় দুশ্চিন্তা। এই সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির অনেক কারণ রয়েছে। সেসবের মধ্যে ভিটামিন বি-১২ এর অভাবও দায়ি। পুষ্টি বিশেষজ্ঞ নাজমা শাহীন জানান, শরীরে ভিটামিন বি-১২ এর অভাব দেখা দিলে ডিপ্রেশন কিংবা বিষণ্ণতার সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর এমনট স্বল্পকালীন বা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। সেজন্য অবশ্যই এই ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করতে হবে।
ভিটামিন বি-১২ স্বাস্থ্যের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একে কোবলামিন নামেও ডাকা হয়। পানিতে দ্রবণীয় এই ভিটামিন রক্ত গঠন এবং স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
নাজমা শাহীনের মতে, শরীরে ভিটামিন বি ১২-এর অভাবে অবসাদ, ক্লান্তি, বিরক্তি, মানসিক চাপ, হতাশা, দুর্বলতাবোধ, চলাফেরায় অস্বস্তি, শ্বাসকষ্ট, ফ্যাকাসে ত্বক ইত্যাদি সমস্যা বাড়ে। বিশেষ করে এই ভিটামিনের অভাবে স্নায়ুতন্ত্রও অর্থাৎ নার্ভও সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। তাই ভিটামিন বি ১২-এর অভাবে দেখা দেয় বিষণ্নতা।
বিষণ্নতা থেকে মুক্তি পেতে তাই ডায়েটে রাখতে পারেন ভিটামিন বি ১২ যুক্ত খাবার। রঙিন শাকসবজি, ফলমূলই নয়, প্রাণীজ উৎস থেকেও এ ভিটামিন পাওয়া যায়। প্রাণীজ উৎসের মধ্যে রয়েছে মাছ, মাংস ডিম, দুগ্ধজাত খাবার যেমন ছানা, দই ও পনির, চিজ, চিংড়ি। এছাড়া ডাল, রুটি, পাস্তা, পালং শাক, বিট ও মাশরুমেও মিলে ভিটামিন বি ১২ ইত্যাদি। চিকিৎসকরা চাইলে আপনাকে প্রেসক্রাইবও করতে পারেন ওষুধ।
উল্লেখ্য, ভিটামিন বি ১২ খাওয়ার পরিমাণ বয়সভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন ৪-৮ বছর বয়সীদের জন্য ১.২ মাইক্রোগ্রাম, ৯-১৩ বছর বয়সীদের জন্য ১.৮ মাইক্রোগ্রাম, ১৪-১৮ বছর বয়সীদের জন্য ২.৪ মাইক্রোগ্রাম, প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২.৪ মাইক্রোগ্রাম, অন্তঃসত্ত্বা হলে ২.৬ মাইক্রোগ্রাম এবং বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েদের ক্ষেত্রে ২.৮ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন বি ১২ প্রয়োজন।
সূত্র: ইত্তেফাক