সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর ৯০ মিনিট অনেক লম্বা। কথাটি ফুটবলভক্তদের জানা। বার্নাব্যুর ৯০ মিনিট কতো লম্বা, তা আরও একবার দেখলো ফুটবল বিশ্ব। ২-০ গোলে পিছিয়ে বিরতিতে গিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তবে দ্বিতীয়ার্ধে কামব্যাকের অসাধারণ গল্প লিখে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের জালে ৫ গোল দিয়েছে লস ব্লাঙ্করা। আর সেই গল্পের মহানায়ক ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। করেছেন অসাধারণ এক হ্যাটট্রিক।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাতে ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে ৫-২ গোলে হারিয়েছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। তবে ম্যাচের শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। ম্যাচের ৩০ মিনিটে ডোনিয়েল মালেন ও ৩৪ মিনিটে জেমি গিটেন্সের গোলে এগিয়ে যায় বরুশিয়া। তাদের গোলে ২-০ তে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় সফরকারীরা।
এরপরের গল্পটা শুধুই রিয়ালের। ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে ভিনিসিয়ুস-রদ্রিগোরা। একের পর এক আক্রমণে ডর্টমুন্ড ডিফেন্সকে ব্যস্ত রাখে তারা। ম্যাচের ৬০ মিনিটে গোল করে দলের ব্যবধান কমান অ্যান্টোনিও রুডিগার।
এর দুই মিনিট পরেই স্কোরশিটে নাম লেখান ভিনিসিয়ুস। তার গোলে সমতায় ফেরে রিয়াল। এরপরও একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যায় লস ব্লাকোরা। ম্যাচের ৮৩ মিনিটে ম্যাচে প্রথমবারের মতো লিড নেয় রিয়াল। লকাস ভাসকেস গোল করে এগিয়ে দেন দলকে।
এর তিন মিনিট পরে অসাধারণ এক গোল করেন ভিনিসিয়ুস। নিজেদের অর্ধে থেকে বল পেয়ে একাই টেনে নিয়ে যান এই ব্রাজিলিয়ান। প্রায় ৭০ মিটার দৌড়ে ডি বক্সের বাইরে থেকে অসাধারণ শটে বল জালে জড়ান ভিনি।
এরপর ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন ভিনিসিয়ুস। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এটি ভিনির তৃতীয় হ্যাটট্রিক। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথম। তার অসাধারণ নৈপুণে ৫-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল।
সূত্র: ইত্তেফাক