লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র কুদস ফোর্সের সাবেক কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলাইমানি হত্যার পর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চল থেকে মার্কিন সেনা বহিষ্কারের দাবি দিনদিন জোরালো হয়েছে। এটি হচ্ছে জেনারেল সোলেমানিকে কাপুরুষোচিতভাবে হত্যা করার পর অন্যতম প্রতিক্রিয়া।
জেনারেল কাসেম সোলাইমানির হত্যার প্রথম বার্ষিক উপলক্ষে লেবাননের রাজধানী বৈরুত থেকে দেওয়া এক বক্তৃতায় হাসান নাসরুল্লাহ এসব কথা বলেন।
গত বছরের ৩ জানুয়ারি বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে মার্কিন সন্ত্রাসী বাহিনী ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যা করে। ওই হামলায় ইরাকের পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিট বা হাশদ আশ-শাবির সেকেন্ড ইন কমান্ড আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ আরো কয়েকজন সঙ্গী নিহত হন। হত্যাকাণ্ডের পরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দম্ভভরে ঘোষণা করেন যে, তার সরাসরি নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ড পরিচালিত হয়েছে।
হাসান নাসরুল্লাহ রবিবারের বক্তৃতায় বলেন, জেনারেল সোলাইমানি ছিলেন একজন বীর এবং আত্মোৎসর্গ, আনুগত্য ও নিপীড়িত জনগণকে রক্ষার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইকন।
আমেরিকা, ইসরায়েল এবং অন্য ষড়যন্ত্রকারী দেশগুলোকে উদ্দেশ করে হিজবুল্লাহ মহাসচিব বলেন, “যখন তোমরা আমাদের নেতাদের হত্যা কর তখন আমরা আমাদের অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে আরও বেশি দৃঢ় প্রতিজ্ঞা হই। যারা মনে করে হত্যা, যুদ্ধ এবং গাড়িবোমা হামলা চালিয়ে আমাদেরকে দুর্বল করা তারা আসলে কল্পনার জগতে রয়েছে। আমেরিকা মনে করেছিল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করে ইরান এবং প্রতিরোধ ফ্রন্টকে দুর্বল করে যাবে কিন্তু আমরা হচ্ছি সেই যোদ্ধা যারা হুমকিকে সুযোগে পরিণত করতে জানে।”
হাসান নাসরুল্লাহ বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনা চলছে এবং পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে মূল উদ্বেগ বিরাজমান। সোলাইমানির শাহাদাতের বার্ষিকীতে ইহুদিবাদী ইসরাইল ইরানের প্রতিশোধের ভয়ে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে। প্রতিরোধ ফ্রন্ট সবসময় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং সম্মান জানাবে। এ ক্ষেত্রে ইরান নিজেই তার প্রতিশোধ নেবে; তেহরানের সে শক্তি এবং সক্ষমতা আছে। এজন্য কোনো আলাদা সহযোগী দরকার নেই। যদি এই অপরাধের জবাব দেওয়ার প্রয়োজন হয় তাহলে ইরানের মিত্ররা নিজেরাই তাদের সিদ্ধান্ত নেবে।”