মিল্কিওয়ে ছায়াপথের কেন্দ্র থেকে আসা অস্বাভাবিক রেডিও সিগন্যাল তথা বেতার তরঙ্গ শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। এমন ঘটনা আগে কখনো ঘটেছে বলে তাদের জানা নেই। এটি নিয়ে জোর চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মধ্যে। মহাকাশের অন্ধকার অলিগলিতে কোথায় অজানা কোন জিনিস লুকিয়ে রয়েছে তার সম্পূর্ণ খোঁজ আজও নেই বিজ্ঞানীদের হাতে। লাখ লাখ বছরেও পুরোপুরি শনাক্ত করতে পারেনি মহাবিশ্বে কোথায় রহস্যময় কোন জিনিস রয়েছে।
জানা গেছে, মহাজাগতিক বস্তুটির উজ্জ্বলতা ক্ষণে ক্ষণে বদলাচ্ছে, আর আসা সংকেতও হুটহাট চালু কিংবা বন্ধ হচ্ছে। ইউনিভার্সিটি অব সিডনির স্কুল অব ফিজিকসে পিএইচডি অধ্যয়নরত ওয়াং এর নেতৃত্বে এ নিয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নালে। সেখানেই জানা গেছে এ তথ্য। বিবৃতিতে ওয়াং বলেন, নতুন এ সংকেতের সবচেয়ে অদ্ভুত ব্যাপার এর পোলারাইজেশন অত্যন্ত বেশি। অর্থাৎ এর আলো কেবল একদিকে স্পন্দিত হয়। তবে সেই দিকটি সময়ের সঙ্গে বদলায়।
গবেষকরা প্রথমে ভেবেছিল, এটা হয়তো ‘পালসার’ কিংবা এমন নক্ষত্র, যা বিশাল অগ্নিঝড় নির্গত করে। রাতের আকাশে অবস্থান অনুযায়ী নতুন মহাজাগতিক বস্তুটির নাম রাখা হয়েছে ‘এএসকেএপি জে১৭৩৬০৮.২-৩২১৬৩৫’।
ইউনিভার্সিটি অব সিডনির অধ্যাপক টারা মারফি বলেন, শুরুতে বস্তুটি অদৃশ্য ছিল, ধীরে ধীরে এটি উজ্জ্বল হয়েছে, হারিয়ে গেছে, আবার ফিরে এসেছে। এমন আচরণ অভূতপূর্ব উল্লেখ করেন এ প্রফেসর।
গবেষকরা গত বছর নয় মাসের মধ্যে ছয়টি রেডিও তরঙ্গ পেয়েছিলেন, কিন্তু বিজ্ঞানীরা যখন এটির উৎস খুঁজতে গিয়েছিলেন তখন কিছুই দেখা যায়নি। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার আরও সংবেদনশীল মিরক্যাট রেডিও টেলিস্কোপ দিয়ে সংকেতের উৎস খোঁজার চেষ্টা চালানো হয়। সংকেতটি আবার পাওয়ার আশায় কয়েক সপ্তাহ পরপর ১৫ মিনিটের জন্য পর্যবেক্ষণ করতেন বলেও বিবৃতিতে জানান মারফি।