একটি গাছে স্বাভাবিক ভাবে,একটি মাথায় হয়। তবে এর বেশি হলে,সেটা অস্বাভাবিক। এমনিই একটি গাছের সন্ধ্যান মিলেছে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার পল্রীতে। এটি একটি খেজুর গাছ। গাছটি ২২ টি মাথা নিয়ে দাড়িয়ে আছে। যা এখন মানুষের বিনোদনের খোরাক হয়ে দাড়িয়েছে।
জানা যায়, কোটচাঁদপুর শহর থেকে ৫ কিলোমিটার বহরমপুর গ্রাম। এ গ্রামের পাশ দিয়ে গেছে (ইউএসআইডি) আমেরিকার জনগণের পক্ষ থেকে নির্মিত সড়ক। বর্তমান যার নাম করন হয়েছে আমেরিকান সড়ক।
এ সড়কের পাশের মাঠে জন্মেছে অস্বাভাবিক সেই ২২ মাথার খেজুর গাছ। গাছটির বর্তমান বয়স ৩০ বছর,এমনটাই জানালেন স্থানীয়রা।
দীর্ঘ দিন ধরে গাছটি তাঁর ২২ টি মাথা নিয়ে দাড়িয়ে আছে। এ খবরটি এখন এলাকা ছাড়িয়ে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। এ কারনে অনেক জায়গার মানুষই গাছটি এক নজর দেখতে ছুটে আসেন কোটচাঁদপুরের পল্লীর ওই গ্রামে।
যা এখন মানুষের বিনোদনের খোরাক হয়ে দাড়িয়েছে। এই গাছটি মালিক ওই গ্রামের ডাক্তার সলেমান মুন্সীর।
তিনি বলেন,খেজুর গাছটি আমার পিতা আবু তালেব মুন্সি লাগিয়েছিল। পাশে আরো খেজুর গাছ ছিল। ওই গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হত। গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে বেশ আগে। তবে অস্বাভাবিক ওই খেজুর গাছটি রেখে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন,গাছটির বয়স ৩০ বছর হবে। বয়স হলেও গাছটি রেখে রাখা হয়েছে। কারন গাছটি এখন এলাকার ঐতিহ্য বহন করছে। এলাছা মানুষের বিনোদনের খোরাক হয়ে দাড়িয়েছে।
বহরমপুর গ্রামের কৃষক জুয়েল জানান, এই গাছটিতে অতিরিক্ত সাপ থাকতো। এ কারনে গাছ থেকে আর রস সংগ্রহ করা হত না। এ ছাড়া সাপের কারনে গাছটিতে খেজুর হলেও সেগুলো পাড়া হত না। গাছেই ফল পেকে নষ্ট হয়ে যেত। এভাবেই প্রথমে একটা দুইটা করে মাথা হতে থাকে। এক সময় তা ২২ মাথায় রুপ নিয়েছেন।
ওই গ্রামে ঢাকা থেকে আসা আত্মীয় দর্শণার্থী শিপন জানান, এমন গাছ বিরল। ব্যতিক্রমী নিদর্শন। এই গ্রামে আসলেই একবার হলেও এ গাছটি দেখতে ছুটে আসি। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে গাছটি এক নজর দেখতে অনেকেই আসেন ।
তিনি বলেন, ২২ মাথার খেজুর গাছটি,দেখে মনে হয় কোন শিল্পী নিপুন হাতে গাছের মাথা গুলো সাজিয়ে রেখেছেন। অবাক করার বিষয় গাছটির মূলের চেয়েও ২২গুন মাথা নিয়ে আকাশের দিকে চেয়ে আছে। প্রকৃতির এক বিচিত্র সৃষ্টি এই খেজুর গাছটি।
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাসীন আলী বলেন, এটি হরমন জনিত কারণে,এক বীজপত্রি উদ্ভিদে একাধিক শাখা প্রশাখা হতে পারে। আর এ ক্ষেত্রে সেটিই ঘটেছে। তবে এ ধরনের ঘটনা খুবই কম দেখা যায়।