পরীক্ষামূলকভাবে মাশরুম চাষে সফলতা পেয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগরের তরুণ উদ্যোক্তা মিজানুর রহমান।
মেহেরপুর প্রতিদিনকে তিনি জানান, “আমার ইচ্ছে ছিল নতুন কিছু চাষ করার। ইউটিউবে মাশরুম চাষ সম্পর্কে জানতে পেরে আগ্রহী হয়ে উঠি। এরপর জীবননগর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মনোহরপুর ইউনিয়নের দায়িত্বরত কৃষি কর্মকর্তা মোরশেদ বিল্লাহর সহযোগিতায় ৫০ কেজি বীজ সংগ্রহ করে প্রায় ২০০টি মাশরুম পলিব্যাগ তৈরি করি এবং পরীক্ষামূলকভাবে চাষ শুরু করি।”
তিনি আরও বলেন, “আমার চাষ করা মাশরুমগুলো ওয়েস্টার জাতের এবং বর্তমানে এগুলোর বয়স আড়াই মাস। মাশরুম পলিব্যাগ তৈরির জন্য আমি কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে কাঠের গুঁড়া ও মাশরুমের বীজ ব্যবহার করেছি। পরিচর্যার ক্ষেত্রে আহামরি কিছু করতে হয় না। তবে অতিরিক্ত গরমে দিনে ৩-৪ বার বাষ্প আকারে পানি স্প্রে করতে হয়।”
ছত্রাক সমস্যা সম্পর্কে সতর্ক করে তিনি বলেন, “কোনো পলিব্যাগে ছত্রাক দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে আলাদা করে ফেলতে হবে। না হলে অন্য পলিব্যাগগুলোও আক্রান্ত হবে।”
বাংলাদেশের আবহাওয়ায় মাশরুম চাষের উপযোগিতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “মাশরুম মূলত শীতপ্রধান দেশে ভালো চাষ হয়। তাই চাষের জায়গাটি এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন সেখানে সরাসরি রোদ না আসে এবং তাপমাত্রা ২২-২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে। যদি গরম বেশি হয়, তাহলে সকালে, দুপুরে ও রাতে বাষ্প আকারে পানি স্প্রে করলেই সমাধান হয়ে যায়।”
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, “শুরুর দিকে আমার ২০০টি মাশরুম পলিব্যাগের মধ্যে প্রায় ৪০টি নষ্ট হয়ে যায়। তবে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করার ফলে আমি অনেক কিছু শিখতে পেরেছি—কীভাবে এটি তৈরি করতে হয় এবং কীভাবে পরিচর্যা করতে হয়। ভবিষ্যতে বাণিজ্যিকভাবে মাশরুম চাষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। আপনারা সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন।”
এছাড়াও তিনি মেহেরপুর প্রতিদিনকে ধন্যবাদ জানান তার মতো একজন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার গল্প তুলে ধরার জন্য।