মাদকদ্রব্য আইনসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৭ টি মামলার আসামি গাংনী উপজেলার বাহাগুন্দা গ্রামের মীর কাউছার আলী। নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে থাকেন মাঝে মধ্যে। তার বিরুদ্ধে রয়েছে বহু বিবাহের অভিযোগ। নিজেকে সরকারি চাকুরীজীবি বা সাংবাদিকের মিথ্যা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় বহু বিবাহ করেছে এই মীর কাউছার আলী। একজন মাদক সেবী ও মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে এলাকার মানুষ তাকে চিনে।
ঘরে স্ত্রী ও ছেলে মেয়ে থাকার পরেও মীর কাউছার আলী একই উপজেলার ধানখোলা গ্রামের জমির উদ্দিন এর মেয়ে শ্যামলী খাতুনকে মিথ্যা প্ররোচনা দিয়ে বিয়ে করে। শ্যামলী খাতুন কাউছারের বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী ও সন্তান দেখে ওই দিনই বাবার বাড়ি ফিরে এসে তালাক দেন তাকে।
এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে শ্যামলী ও তার পরিবারের উপর একের পর এক মিথ্যা মামলা দিতে থাকে প্রতারক কাউছার। তার দায়ের সবগুলো মামলায় খালাস পান তিনি।
সবশেষে ২০২০ সালে তার বিরুদ্ধে টাকা ও গহনা চুরির একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন প্রতারক। যার মামলা নং-৩১৬/২০।
গাংনী থানার এস আই নুরুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত শেষে শ্যামলীর বিরুদ্ধে চার্জশীট প্রদান করেন। মালায় ৩ জন সাক্ষী প্রদান করেন। এতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আজ সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক বর্ণালী তাকে বেকসুর খালাস দেন।
কাউছারের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় শ্যামলী খাতুন আদালত থেকে বেখুসুর খালাস পাওয়ার দিন গাংনী থানা পুলিশ প্রতারক মীর কাউসাকে একটি মাদক মামলায় গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
সোমবার দুপুরে শ্যামলীকে বেখসুর খালাস হয়ে আদালত থেকে বের হওয়ার সময় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় মীর কাউছারকে। মীর কাওছার একই উপজেলার বাহাগুন্দা গ্রামের মৃতু মীর ওমর ফারুকের ছেলে।
গাংনী থানা সূত্রে জানা গেছে, মাদক ব্যবসায়ী মীর কাউসার মাদক সেবনের পাশাপাশি দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকের ব্যবসা করে আসছে। মীর কাওছারের বিরুদ্ধে গাংনী, মেহেরপুর সদর থানায় মাদকের অভিযোগে ১৭ টি মামলা চলমান রয়েছে।
কয়েকটি মামলায় তার তাকে সাজা দিয়েছে আদালত।