কুষ্টিয়া জেলার নবাগত জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: এহেতেশাম রেজা এর সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকাল ১১টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে, মিরপুর উপজেলার জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও সুধীজনদের সাথে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় নবাগত জেলা প্রশাসক মো: এহেতেশাম রেজা জেলা সহ সকল উপজেলার বিভিন্ন সমস্যা সম্ভাবনা ও উন্নয়নের বিষয়ে এক হয়ে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করবো এই কুষ্টিয়া জেলাকে এগিয়ে নিতে।
তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকের কাজের নানান ক্ষেত্র রয়েছে। সরকারের উন্নয়ন ও সেবার কাজগুলো সমন্বয় সাধন করা এবং এগুলো আবার সরকারের উচ্চমহলে অবহিত করা। রাজস্ব আদায়েও আমরা কাজ করে থাকি। রাজস্ব আয় থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়েই সরকার উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও সেবা প্রদানের ব্যয় নির্বাহ করে থাকে। তাই অভ্যন্তরীণ রাজস্ব ব্যবস্থা সুসংহত করার মাধ্যমে অর্থনীতির চাকা সচল রাখার পাশাপাশি সরকারি ব্যয় নির্বাহ ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা আনতে কাজ করতে হয়।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, বাংলাদেশ মাদকের উৎপাদনকারী দেশ না হলেও মাদকের ব্যবহার বেশি হয়ে থাকে। মাদকের জন্য খুবই ঝুকিপূর্ণ আমাদের দেশ। মাদক নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিংবা প্রশাসনের একার পক্ষে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। এজন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের ভূমিকা রয়েছে। পাশাপাশি অবিভাবকের গুরুত্বও রয়েছে অনেক। সন্তানদের খোঁজ খবর রাখতে হবে।
ডিসি অফিস ফেসবুক ব্যবহার করে নাগরিক সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, রাষ্ঠ্র এবং জনগণ সরকারের সাথে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করছে সাংবাদিকরা। স্মার্ট ফোন হাতে নিয়ে এখন অসত্য তথ্য গুজব আকারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এই গুজবের কারণ দাঙ্গা ও সৃষ্টি হতে পারে। তাই সাংবাদিকদের সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য সরবরাহের জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় মিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামারুল আরেফীন বলেন, একটা সময় কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা ছিল সন্ত্রাসকবলিত। চাঁদাবাজ, খুন, রাহাজানি, অপহরণ ছিলো। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই উপজেলার মানুষ আরামে শান্তিতে ঘুমাতে পারছে। এখন আমরা অনেক শান্তিতে বসবাস করতে পারছি। মানবতার বার্তা পৌঁছে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে মিরপুর।
তিনি আরও বলেন, মিরপুর উপজেলাকে ঢেলে সাজানোর জন্য উপজেলা পরিষদের সমন্বয়ে উপজেলা প্রশাসন, সকল ইউপি চেয়ারম্যান ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে গড়ে তোলা টিম মিরপুর নামের নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা জীবনকে বাজী রেখে করোনাকালীন সময়ে টিম মিরপুর কাজ করেছে। আমরা ভালো আছি, ভালো থাকতে চাই এজন্য যা যা করনীয় আপনি (জেলা প্রশাসক) তাই করবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিন্টু বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. কামারুল আরেফীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. আবদুল হালিম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হারুন অর রশীদ, পৌর মেয়র হাজী এনামুল হক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জোয়ার্দার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মর্জিনা খাতুন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন খান, মিরপুর থানার ওসি (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রিমন, মীর আবদুল করিম কলেজের অধ্যক্ষ আহসানুল হক খান চৌধুরী চন্দন, মালিহাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকরাম হোসেনসহ অন্যান্যরা।