মুজিবনগর উপজেলা ছাত্রলীগ সম্পাদকের মাদক গ্রহনের ছবি ভাইরাল এবং সংগঠন পরিপন্থী কার্যকলাপের কারনে শেখ সাকিবকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। সেই সাথে স্থায়ীভাবে বহি:স্কারের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ বরাবর সুপারিশ করা হয়েছে। এদিকে একই বিজ্ঞপ্তিতে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় মুজিবনগর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাঁধন ও সাধারণ সম্পাদক মুনতাছির জামান মৃদুল স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মুজিবনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাকিবের মাদক গ্রহনের ছবি ভেসে বেড়াচ্ছে । জনগনের বন্ধু নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে গত ১১ আগষ্ট সাকিবের ইয়াবা সেবনের একটি ছবি পোষ্ট করা হয়। পরে মূহুর্তেই ছড়িয়ে পড়ে ছবিটি। পরে গত ২ সেপ্টেম্বর গাঁজা সেবনের আরও একটি ছবি একই আইডি থেকে পোষ্ট করা হয়। সেই সাথে তাকে বহিষ্কারের দাবি জানায় ওই ফেসবুক আইডিটি। এছাড়াও ছাত্রলীগের মহাসমাবেশে না গিয়ে বিএনপি নেতা কর্মীদের সাথে বসে আড্ডা দেওয়ারও ছবি পোষ্ট করে জনগনের বন্ধু নামের ওই ফেসবুক আইডিটি। এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন ইউনিটের ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা। এরকম মাদকাশক্ত একজন ছাত্রনেতার অবিলম্বে বহিষ্কারের দাবি জানায় ছাত্রলীগ নেতারা।
মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাঁধন ও সাধারণ সম্পাদক মুনতাছির জামান মৃদুল বলেন, সংগঠণ বিরোধী, শৃংখলা পরিপন্থি, অপরাধমুলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয় এমন কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকার অপরাধে মুজিবনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাকিব কে সাময়ীক বহি:স্কার করা হয়েছে। এছাড়া মুজিবনগর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় কমিটির সকল কার্যক্রম বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
মেহেরপুর ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা দেখেছি তার মাদক গ্রহনের ছবি। এতে ছাত্রলীগের মান ক্ষুন্ন হয়েছে। মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা কর্মী জানায়, মুজিবনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বির্তকীত কাজ করে ছাত্রলীগকে কলঙ্কিত করছে। অবিলম্বে এমন ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ারও জোর দাবি জানান তারা। এছাড়াও মুজিবনগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদে থেকে সে বিয়েও করেছে। ইতিমধ্যে তার একটি কন্যা সন্তানও আছে। ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর চার সদস্যের মুজিবনগর ছাত্রলীগের কমিটির অনুমোদন দেই জেলা ছাত্রলীগ। পরে তিন মাসের মধ্যে পূর্নাঙ্গ কমিটি করার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু ৬ বছরেও হয়নি পূর্নাঙ্গ কমিটি।