মুজিবনগরে অপহরণ করে মুক্তিপন বাবদ চাঁদা আদায়ের ঘটনায় ৩ আসামীকে গ্রেফতার করেছে মুজিবনগর থানা পুলিশ। এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেছেন মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদি রাসেল।
লিখিত প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে সাংবাদিকদের জানান, অপহরণ মামলাটি অতি গুরুত্বর সাথে নিয়ে মেহেরপুর পুলিশ সুপার রাফিউল আলমের সার্বিক তত্বাবধানে এবং নির্দেশনায় মুজিবনগর থানা পুলিশ মামলার তদন্তকারী অফিসার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শরিফুল, মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা শাখা এবং মেহেরপুর সাইবার ক্রাইম ইউনিট এর সমন্বয়ে গঠিত টিম নিয়ে মামলার তদন্ত শুরু করা হয়। প্রায় ১ মাস তদন্ত শেষে বিভিন্ন তথ্য প্রমান সংগ্রহ করে ঘটনার সহিত জড়িত ৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন, মেহেরপুর সদর উপজেলার সোনাপুর মালিথাপাড়ার মৃত হায়দার আলীর ছেলে আব্দুল কুদ্দুস (২৭) একই গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে শহিদুল (৩৫) ও চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা থানার দুলালনগর গ্রামের জামাল উদ্দীন খান এর ছেলে খায়রুল ইসলাম তপন (২৮)।
গ্রেফতারের পর রবিবার সকালে তাদের বাংলাদেশ পেনাল কোড ধারা-৩৬৫/৩৮৫/৩৮৬ ধারায় মামলা দিয়ে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। যার মামলা নং-০২। মুজিবনগর থানা।
লিখিত প্রেস ব্রিফিংয়ে আরো জানান, গ্রেফতার পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদে আসামী আব্দুল কুদ্দুস, শহিদুল ঘটনার সহিত জড়িত থাকার বিষয়টি অকপটে স্বীকার করে এবং তারা স্বেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
আসামীরা ঘটনার সহিত জড়িত অপরাপর সহযোগী আসামীদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি প্রদান করে। আসামীদ্বয়ের প্রদত্ত তথ্যাদি সতর্কভাবে যাচাই বাছাই সহ ঘটনার সহিত জড়িত অন্যান্য পলাতক সহযোগী আসামীদের গ্রেফতারের জন্য জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হইয়াছে।
উল্যেখ্য যে গত ইং ১লা এপ্রিল রাত্রী আনুমানিক ৯ ঘটিকার সময় মুজিবনগর থানাধীন গোপালপুর গ্রামস্থ হাতিরখাল নামক স্থানে নিজের মাঠের কচুক্ষেতের জমিতে স্যালো মেশিন দিয়ে সেচ দেওয়ার সময় কয়েকজন লোক চাঁদা নেয়ার উদ্দ্যেশে গোপালপুর গ্রামের শাহাবদ্দীন শেখের ছেলে আঃ মালেক ও তার ভাই শফিকুল ইসলামকে অপহরন করে।
অপহরনের পর অপহরণকারীদের ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ভোরে তারা বাড়ি ফিরে। পরে আঃ মালেক বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৪/১৫ জন আসামী করে মুজিব নগর থানায় একটি অপহরন মামলা দায়ের করে।