মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার যতারপুর গ্রামের একটি পান বরজে অভিযান চালিয়ে ময়েন উদ্দীন (৩২) নামের এক ব্যক্তিকে দেশীয় তৈরী একটি একনলা বন্দুক ও ২ রাউন্ড গুলিসহ আটক করেছে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর একটি টিম।
মঙ্গলবার রাতে তাকে আটক করে মুজিবনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
আটক ময়েন উদ্দীন মুজিবনগর উপজেলার যতারপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়া এলাকার জমির উদ্দীনের ছেলে।
মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলুর সহযোগী হিসেবে এলাকায় পরিচিত।
মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে খবর পেয়ে ২৭ আর্টিলারী রেজিমেন্টের মেহেরপুর সেনা ক্যাম্পের মেজর জাহিনের নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর একটি টিম মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে ময়েন উদ্দীনকে তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আটক করেন। পরে তাঁর স্বীকারোক্তি মোতাবেক বাড়ির পাশে একটি পানবরজের মধ্যে থেকে দেশীয় তৈরী একটি নলা বন্দুক ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
মহাজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর জয়নাল আবেদীন বলেন, আটক ময়েন উদ্দীন কৃষি কাজ করেন। সে আওয়ামী লীগ নেতা ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলুর লোক হিসেবে পরিচিত।
মুজিবনগর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, ময়েন উদ্দীনকে মাঝরাতে থানায় আনা হয়েছে। এখন তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন। আজ বুধবার আদালতে নেওয়া হবে।
স্থানীয়রা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আমাম হোসেন মিলুর ক্যাডার ময়েন উদ্দীনের ভয়ে কেউ কথা বলতে পারতো না। গত ৫ আগষ্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আমাম হোসেন মিলু ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা পালিয়ে যান। ময়েন উদ্দীনও পলাতক ছিলেন। বেশ কিছুদিন থেকে পুলিশ ও সেনাবাহিনী তাঁর বাড়িতে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছিলেন। অবশেষে সে যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক হলেন।
উল্লেখ্য, আটক ময়েন উদ্দীনের বড় ভাই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ৩ টি হত্যা ৩টি, ৪টি ডাকাতি ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ৩টিসহ ডজন মামলার আসামী মজিবুল হক মজিবুল হক মজি মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী কোমরগর্ত মাঠে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছিলেন। সে সময় ১টি এলজি সার্টারগান, ২টি কার্তুজ খোসা, ৪টি তাজা কার্তুজ, ৩টি হাতবোমা ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল।