মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী ইউনিয়নের দুই বারের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজকে বিতাড়িত করেছে এলাকাবাসী,ও তার মেয়াদের নির্যাতিত কয়েকজন মেম্বার।
আজ রবিবার সকালে, সরজমিনে গিয়ে জানা যায় গত ৫ই আগস্ট পরবর্তী সময়ের পর মোনাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমানের দীর্ঘ অনুপস্থিতির পর, আজ রবিবার, সকালে চেয়ারম্যান তার অফিস কার্যালয়ে আসেন। পরে অত্র ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের লোকজন, সহ ৮ নং ৯ নং ৭ নং ৬ নং ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বাররা ইউনিয়ন চত্বরে জড়ো হয়ে চেয়ারম্যান মফিজুর রহমানকে বিতাড়িত করে, পরিষদ কার্যালয়ে তালা মেরে দেয়।
এ বিষয়ে এলাকাবাসীর কাছে ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে এলাকাবাসী বলেন চেয়ারম্যান মফিজ, সাবেক মন্ত্রীর ক্ষমতা ব্যবহার করে ইউনিয়ন পরিষদকে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার, স্বজন প্রীতি ও মাদক সেবনের নিরাপদ আশ্রয়স্থল বানিয়ে রেখেছিল তাই আমরা তাকে বিতাড়িত করেছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার সিরাজুল ইসলাম বলেন আমি গত দুইবার জনগণের ভোটে মেম্বার হয়ে জনগণের কোন উপকার করতে পারেনি। কারণ হিসেবে তিনি বলেন আমি বিএনপি করার কারণে ওই চেয়ারম্যান আমাকে কোন কাজ বা উন্নয়নমূলক কোনো কাজে অংশগ্রহণ করতে দেয়নি এবং পরিষদে আসতেও বাধাগ্রস্থ করেছে, তাই আমি এলাকাবাসীর সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছি।
৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার পালু বলেন চেয়ারম্যান মাদক সেবনকারী, তাই আমার গ্রামের মাদক সেবীদের সাথে আতাত করে আমাকে কোণঠাসা করে রেখেছে, তাই আমিও এলাকাবাসীর পক্ষে।
১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, চেয়ারম্যান আমার বন্ধু এটা আমি বলি, কিন্তু ওই মফিজ আমাকে তো কোন ধরনের কাজ দেয়নি ও পরন্ত তার মাদক সেবী বাহিনী দিয়ে আমার উপরে হামলা করে ও মারাত্মক আহত করে। আমি কোন বিচার পাইনি, অবিলম্বে তার অপসারণ চাই।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান মফিজুরের আস্থাভাজন ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার ডালিম বলেন আমি তেমন কিছু জানি না, বোর্ডে গিয়ে দেখি অনেক লোকজন চেয়ারম্যান কে পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত পরিষদে আসতে নিষেধ করে এবং পরিষদ চত্বরে তালা মেরে দেয়।
ঘটনার সত্যতা জানতে চেয়ারম্যান মফিজুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কোন বক্তব্য দিবেন না।
এছাড়াও মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি এ বিষয়ে অবগত নয় এবং আমাকে কেউ জানায়নি, তবে আমি জানতে পারলে অবশ্যই আপনাদের বিস্তারিত জানাবো।