রেজাউল করিম , মুজিবনগর:
মেহেরপুরের মুজিবনগরে টানা চার দিনের বর্ষনে জন জীবন বিপর্যস্ত। গত বুধবার থেকে কখনো থেমে থেমে আবার কখনো অঝোরে বৃষ্টি হচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। সূর্যের মুখ দেখা মেলেনি এই পাঁচ দিনে। রাস্তাঘাট কর্দমাক্ত হয়ে স্বাভাবিক চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। স্কুল, কলেজ মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি খুবই নগন্য ছিল।
দিন মজুররা তাদের শ্রম বিক্রি করতে না পেরে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। উপজেলার সোনাপুর গ্রামের বাসিন্দা জনাব আলী (৬৫) জানান বৃষ্টির কারনে প্রধান খাদ্য শস্য ধান সহ ফসলী জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শীতকালীন সবজি চাষীরা ক্ষতির সম্মূখীন হয়েছে। যার ফলে সবজির বাজার লাগামহীন ভাবে চলছে।
বিশেষজ্ঞদের ধারনা জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে এ ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। সোনাপুর বাজারের পেয়াজু বিক্রেতা লিয়াকত আলী জানান, টানা বৃষ্টির কারনে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছেনা যাতে করে পিয়াজু বিক্রি আগের তুলনায় অনেক কম হচ্ছে। পিয়াজু বিক্রি না করতে পেরে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাগোয়ান গ্রামের আনিসুর রহমান জানান চার দিনের বর্ষনে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পরেছে। বুধ বৃহসপ্রতি, শুক্র, শনিবার অবিরাম বর্ষনে মুজিবনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ধান ক্ষেতে পানি জমে যাওয়া এবং ধান গাছ মাটিতে শুয়ে পড়ায় পাকা আউস ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া শীতকালীন বিভিন্ন সবজি ক্ষেতে বৃষ্টির পানি জমে সবজি নষ্ট হতে চলেছে।
এতে লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ দিকে উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকার শীতকালীন শাক-সবজি পানিতে নষ্ট হচ্ছে। বৃষ্টির পানি জমে , মরিচ, বেগুন, সিম, বাধাকপি, মূলা, লালশাক, পালনশাক, সহ নানা প্রকার সবজি এখন ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে।
উপজেলার ভবরপাড়া গ্রামের করিম মল্লিকের ছেলে হযরত আলী মাষ্টার জানান আমার দেড় বিঘা আউস ধান আবাদ করেছিলাম কিন্ত চার দিনের বর্ষনে হাটু পানির নিচে হাবুডুবু খাচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে অনেকেই বিষ্টিতে ভিজে এসব সবজি তুলতে চেষ্টা করছে।