দেশব্যাপী করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকারি ছুটির মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ জরুরী সেবাসমূহ অফিসগুলো সীমিত আকারে চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছে।করোনাভাইরাসের কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতেও বলে হচ্ছে। কিন্তু মুজিবনগর উপজেলা সাব-জোনাল অফিসে সেই দূরত্ব বজায় রাখা যাচ্ছে না।
মুজিবনগরে ভয়ানক করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সামাজিক দূরুত্ব না মেনে অফিসের সামনে লোক সমাগম করে বিদ্যুতের লেনদেন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে মুজিবনগর সাব জোনাল অফিস। রবিবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে মুজিবনগর সাব জোনাল অফিসের সামনে লোকসমাগমের এ চিত্র দেখা যায়। এতে করে এলাকবাসি চরম ঝুকির মধ্যে পরে যাচ্ছে।
ইতিমধ্যে মুজিবনগর উপজেলায় ২ জন ব্যাক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ও এদের মধ্যে ১ জন মারা গিয়েছে। আর সেই থেকে মুজিবনগর সাধারন জনগনের মনে করোনার কঠিন আতংক বিরাজ করছে। আর তারই মধ্যে কোন নিয়ম নিষেধাঙ্গা না মেনে সামাজিক দূরুত্ব বজায় না রেখে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কার্যক্রম। অফিসের সামনে ঠাসাঠাসি করে লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে গ্রাহকদের।
ফলে একদিকে ঝুঁকিতে পড়ছে অফিসটির কর্মকর্তারা, আবার গ্রাহকেরাও পড়ছেন ঝুঁকিতে। মুজিবনগর সাব-জোনাল অফিসরের এজিএম মোতাসিল বিল্লাহ জানান, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আমরা গ্রহীতাদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বার বার অনুরোধ করছি। তবে কিছু ক্ষন সামাজিক দূরুত্ব নিশ্চিত করে লাইনে দারিয়ে সকলে বিল পরিশোধ করছিলো। কিন্তু হঠাৎ করে একটি ছেলে এসে সামনে চলে আসায় গ্রাহকদের ভিতরে বিতর্ক শুরু হয়ে যায়, এবং তখন একটু ঝামেলা সৃষ্টি হয়ে যায়।
তাছাড়া সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের কয়েকমাসের জরিমানা মওকুফ করা হয়েছে। এবং বিলের জন্যে কোন ধরনের চাপ গ্রাহকদেরকে সৃষ্টি করা হবে না বলে বিভিন্ন মাধ্যেম দিয়ে জানানো হয়েছে। তারপরেও গ্রাহকরা এসে ভীড় জমাচ্ছে। মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাশেম জানান, সামজিক দূরুত্ব না মেনে বিদ্যুৎ বিল লেনদেন চলছে এমন ঘটনা শোনার পর আমি এজিএম এর কাছে ফোন দিই। এবং সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য আমার একজন এসআইকে সেখানে পাঠানো হয়।