মেহেরপুরের মুজিবনগরে জমিজমা সংক্রান্তের জের ধরে খুন করার উদ্দেশ্যে হাসুয়ার কোপে তিনজনকে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন মুজিবনগর উপজেলার বিশ্বনাথপুর গ্রামের হেকমত আলীর ছেলে মিয়ানুল ইসলাম (৫০), আসাদুল ইসলাম (৫৮), হাবিবুর রহমান (৪৭) কে গুরুতর জখম। এ সময় স্থানীয় ও পরিবারের লোকেরা উদ্ধার মুজিবনগর সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করে।
পরে এ ঘটনায় আহত ব্যক্তির ভাই অষ্টমুল ইসলাম বাদী হয়ে আমানুল ইসলাম আমানকে এক নম্বর আসামি করে ১৭ জনের নামে মুজিবনগর থানায় মুজিবনগর থানায় মামলা দায়ের করেন।
বাকী আসামীরা হলেন, বিশ্বনাথপুর গ্রামের মৃত আজেহারের ছেলে রবি (৫০), আশা (৫১), মৃত গকুলের ছেলে মোঃ মান্নান (৪২), মোঃ আল আমিন (২৫), মোঃ আমানুল ইসলাম (আমান), মোঃ কিতাব (৫৫), মোঃ জিনারুল (৫৭), মোঃ ইজারুল (৫২), মোঃ আবুল হোসেন (৬০), আবুল হোসেনের ছেলে নাজমুল (৪০), আয়ূবের ছেলে মোঃ ফরিদুল ইসলাম (৪৮), দাউদ মালের ছেলে মোঃ ইদ্রিস (৬০), মোঃ বাদশা (৪৫), কাশেমের ছেলে মোঃ হাবিবুর (২৫), হায়াতের ছেলে মোঃ ভাষান (৩৫), মৃত; ইমান আলীর ছেলে মোঃ মহত আলী (৬০) ও মহত আলীর ছেলে মোঃ মতি (৩৮)।
পরে আজ শনিবার সকালে অভিযোগের প্রেক্ষিতে আসামিদের মধ্যে আবুল হোসেন ও হাবিবুর রহমানকে আটক করে মুজিবনগর থানা পুলিশ।
বাদি এজাহারে উল্লেখ করেন, আমাদের সাথে আসামী পক্ষের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ থাকায় শনিবার ভোর রাতে আমরা কয় ভাই ফজরের নামাজ পড়তে গেলে আমাদের খুন করার উদ্দেশ্যে বিশ্বনাথপুর কদম তলায় লাঠি, দা, হাসুয়া নিয়ে আসামীরা অবস্থান করেন। এমন সময় মসজিদ থেকে বের হওয়ার পরে তারা আমার ভাই হাবিবুর রহমানকে দেখতে পেলে আমানুল ইসলাম (আমান) আমার ভাইকে হাসোয়া দিয়ে কোপ মারতে গেলে হাত দিয়ে হাসোয়া ঠেকানোর সময় তার হাতে কোপ লাগে। এ সময় তার বাকি সঙ্গীরা আমার ভাইদের উপর লাঠি দিয়ে এলোপাতরি মারপিট শুরু করে। এতে করে আমার তিন ভাই গুরুতর আহত হলে হাসপাতালে নিয়ে আসি।
এ বিষয়ে মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, মারপিটের ঘটনায় ১৭ জনের নামে মুজিবনগর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা দুজনকে আটক করেছি। বাকি আসামীদের ও দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।