গত ২০ অক্টোবর মেহেরপুর প্রতিদিনে “বৃদ্ধ মুসা করিম ছোট নাতিকে নিয়ে ঘুরছে বিচারের আশায়” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ দেখে বৃদ্ধ মুসা করিমের বাড়ি ও এলাকা পরিদর্শন করেছে স্থানীয় একটি মানবাধিকার টিম।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালের দিকে মানব উন্নয়ন কেন্দ্র মউক এর নির্বাহী প্রধান আসাদুজ্জামান সেলিম।
তিনি জানান, মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার কোমরপুর গ্রামের বৃদ্ধ মুসা করিম ও নাতি আকাশকে বড় ছেলের প্রথম স্ত্রী আসমা খাতুন, রিপন আলি ও ফারুক ক্ষমতার দাপটে গৃহহীন করে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মুসা করিমের বড় ছেলে লাল চাঁদ প্রথম স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে দ্বিতীয় বিবাহ করেন। দ্বিতীয় সংসারে আকাশ নামের একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়।
দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে লাল চাঁদের প্রথম স্ত্রী গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে লালচাঁদ এর ছেলেদের জন্য দুইটি বাড়ি ও ১২ কাঠা জমি রেজিস্ট্রি করে দেন।
এ ঘটনায় লালচাঁদ এর প্রথম পক্ষের ২ ছেলে ও স্ত্রী মিলে মুসা করিমের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়। এক পর্যায়ে তারা আকাশকে দেয়ার জমি ও বাড়িটি দখল করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে বিচার দিলে কোনো প্রতিকার না পেয়ে মানব উন্নয়ন কেন্দ্র মুখের সালিশ প্রকল্পে অভিযোগ দেন।
এ বিষয়ে মানবাধিকারকর্মী আসাদুজ্জামান সেলিম বলেন কিছু দিন আগে স্থানীয় পত্রিকা মেহেরপুর প্রতিদিনে এই বিষয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়, প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে আমরা কোমরপুর গ্রামে মুসা করিমের বাড়িতে যাই।