কোনো যানবাহনে উঠার পর যাত্রীরা সাধারণত নিশ্চিন্তে থাকেন। কেউ ঘুমিয়ে পড়েন, কেউ আবার পাশের জনের সঙ্গে গল্পে মেতে উঠেন কিংবা নিজের স্মার্টফোন নিয়ে সময় কাটানো শুরু করে দেন।
কিন্তু যে মানুষটি সব যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দেন, সেই চালকের এতো কিছু করার উপায় নেই। তার মনোযোগ যাত্রা পথেই থাকে। চালকের একটু ভুলে যেমন যাত্রীদের জীবন ঝুঁকিতে পড়ে, তেমনি চালকের দক্ষতায় যাত্রীদের প্রাণে বেঁচে যাওয়ার নজিরও নেহায়েত কম নয়। ঠিক তেমনই নজির স্থাপন করলেন এই বাসচালক। নিজের মৃত্যুর আগে বাঁচিয়ে গেলেন ৩০ যাত্রীর প্রাণ।
ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া ডটকম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভারতের তামিলনাড়ু স্টেট ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের (টিএনএসটিসি) এক বাসচালকের গাড়ি চালানোর সময় হার্ট অ্যাটাক হয়।
এম আরুমুগাম (৪৪) নামের ওই বাসচালক স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা ২০ মিনিটে আরাপ্পালায়ম থেকে ৩০ জন যাত্রী নিয়ে কোডাইকানালের দিকে যাত্রা শুরু করেন।
যাত্রা শুরুর মাত্র পাঁচ মিনিট পর হঠাৎ বাসচালকের বুকে ব্যথা শুরু হলে তিনি তার সহকারীকে জানান। এ সময় ব্যথা নিয়ে গাড়িটিকে দাঁড় করান তিনি। এর পরই তিনি ঢলে পড়ে যান।
এদিকে, তার সহকারী সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স ডাকেন। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স আসার আগেই তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে টিএনএসটিসি উপ বাণিজ্যিক পরিচালক যুবরাজ বার্তা সংস্থা আইএএনএসকে জানান, টিএনএসটিসিতে আরুমুগামের ১২ বছর ধরে বাস চালাচ্ছে। এভাবে মৃত্যুর আগে রাস্তায় পাশে গাড়ি দাঁড় করিয়ে ৩০ যাত্রীর প্রাণ বাঁচানোর অনুকরণীয় দৃষ্টান্তের কথা সব সময় স্মরণ করা হবে।