প্রায় এক বিন্দুতে মিলে গেল নেদারল্যান্ডসের ভাগ্য। ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে ডাচদের আর্জেন্টিনার কাছে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল। কাতার বিশ্বকাপেও তাদের একইভাগ্য বরণ করতে হলো, সেই একই দলের বিপক্ষে। পার্থক্যটা শুধু আগের ম্যাচটি ছিল সেমিফাইনাল, আর এটি কোয়ার্টার ফাইনাল। মাঝে অবশ্য নেদারল্যান্ডস ২০১৮ বিশ্বকাপে খেলতে পারেনি যোগ্যতা অর্জন পর্বের বৈতরণী না পেরোনোর জন্য।
ডাচ কোচ লুইস ফন গল শিষ্যদের নিয়ে কাতার বিশ্বকাপ জয়ের আশা করেছিলেন। কিন্তু তাকে কোয়ার্টারেই আর্জেন্টিনার নিকট থামতে হলো। ঠিক যেমনটা ফন গল আটকে গিয়েছিলেন ২০১৪ বিশ্বকাপে। সেটি ছিল সেমিফাইনাল। এবার কোয়ার্টারের বাধাই টপকাতে পারল না ফন গলের দল।
কোয়ার্টার ফাইনালের আগে মেসিকে তাতিয়ে দেওয়ার কাজটা করেছিলেন ফন গলই। অতীতে দেখা গিয়েছে, মেসিকে আটকে রাখার অন্যরকম কৌশল অবলম্বন করেছিলেন তিনি। বিশেষ করে ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা অধিনায়ককে ‘বোতলবন্দি’ করে রেখেছিলেন ফন গল। সেই ম্যাচে মেসিকে রক্ষণে ঢুকতেই দেননি নাইজেল ডি ইয়াং। গোটা ম্যাচেই নিজের ছন্দে খেলতে ব্যর্থ হয়েছিলেন মেসি। ফন গল ভেবেছিলেন এবারও তেমন কিছু করে মেসিকে আটকে রাখবেন। তাই তো ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে গিয়ে রীতিমতো মেসিকে অপমানই করে বসেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আর্জেন্টিনার পায়ে যখন বল থাকে না, মেসি তখন কিছুই করেন না। এটাই কাজে লাগাতে চাই।’
২০১৪ বিশ্বকাপে যে সূত্র প্রয়োগ করে মেসিকে আটকে রেখেছিলেন ফন গল এবার সেই সূত্র কাজে আসেনি। উলটো পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম করেছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। নির্ধারিত সময়ে ২-২ গোলে সমতায় শেষ হওয়া ম্যাচে অতিরিক্ত সময়েও ফল আসেনি। ফলে ম্যাচটি টাইব্রেকারে গড়ায়। টাইব্রেকারে এমিলিয়ানো মার্তিনেজের দুর্দান্ত ২টি সেভের সৌজন্যে জিতে যায় আর্জেন্টিনা। সংবাদ সম্মেলনে ফন গালের কথায় মেসি যে অপমানিত বোধ করেছেন সেটি ম্যাচ শেষে তিনি স্বীকার করেছেন। তার ভাষায়, ‘ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ফন গলের কথা আমি অপমানিত বোধ করেছি। ম্যাচ চলার সময়ও বেশ কয়েকজন ডাচ খেলোয়াড় বেশি কথা বলেছে। তবে আমরাই সেমিফাইনাল খেলার যোগ্য ছিলাম এবং সেটাই হয়েছে।’