লা লিগায় প্রথম ১২ ম্যাচে তাঁর গোল ছিল মাত্র ১টি, গোলে সহায়তাও ছিল ১টি। সব মিলিয়ে মাত্র ২ গোলে অবদান রাখায় বেশ চাপেই ছিলেন রদ্রিগো। চ্যাম্পিয়নস লিগেও প্রথম দুই ম্যাচে ছিল না কোনো গোল কিংবা গোলে সহায়তা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে ট্রলও (হাস্যরস) চলছিল অনেক। কিন্তু সেই চাপ কাটিয়ে রদ্রিগো এখন রীতিমতো উড়তে শুরু করেছেন।
লা লিগায় শেষ ৩ ম্যাচে তাঁর গোলসংখ্যা ৫ এবং সহায়তা আছে আরও ৩ গোলে। আর সব মিলিয়ে শেষ ৫ ম্যাচে ৭ গোল ও ৪ সহায়তা। শুধু গোল করা কিংবা করানোতেই নয়, ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠাতেও দারুণ ভূমিকা রাখছেন রদ্রিগো। পাশাপাশি তাঁর করা গোলগুলোও যেন নান্দনিকতায় ভরপুর।
সর্বশেষ গতকাল রাতে গ্রানাডার বিপক্ষে ২-০ গোলে জয়ের রাতেও এক গোল এসেছে রদ্রিগোর পা থেকে।
দুরন্ত রদ্রিগোর জোড়া গোলে শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদ
কদিন আগে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন রদ্রিগো। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার উত্তপ্ত লড়াইয়ে লিওনেল মেসির সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন রদ্রিগো। এমনকি এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বর্ণবাদী আক্রমণেরও শিকার হন এই ব্রাজিলিয়ান।
এসব ঘটনা যেন আরও তাতিয়ে দিয়েছে রদ্রিগোকে। আন্তর্জাতিক বিরতি থেকে ফেরার পর রীতিমতো অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছুটছেন এই উইঙ্গার।
আন্তর্জাতিক বিরতি থেকে ফিরে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩ ম্যাচে রদ্রিগো গোল করেছেন ৪টি, আর গোলে সহায়তা করেছেন ১টি। এর মধ্যে একাধিক গোল বেশ দৃষ্টিনন্দনও বটে। এমন পারফরম্যান্সের কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলমান বিতর্কের ধারাও যেন উল্টো দিকে ঘুরে গেছে।
গতকাল রাতে গোল উদ্যাপনের ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করার পর সতীর্থরা তাঁকে সেখানে ‘রদ্রি-গোল’ তকমা দিয়েছেন। আন্তেনিও রুডিগার লিখেছেন, ‘রদ্রি-গোল’ আর জুড বেলিংহাম লিখেছেন, ‘থেমে যেয়ো না রদ্রি-গোল।’
গোলের পর রদ্রিগো
গ্রানাডা ম্যাচের পর তাঁকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তিও। তিনি বলেছেন, ‘রদ্রিগো দারুণ। ও সেরা ছন্দে ফিরে এসেছে। অনেক গোল করছে।
আজ প্রমাণ করেছে যে ও শুধু বাঁ প্রান্ত দিয়েই গোল করে না। মাঝামাঝি বা ডান প্রান্ত থেকেও গোল করতে পারে। দ্বিতীয়ার্ধে আমি ওকে ডান প্রান্তেই বেশি খেলিয়েছি। আমি ভেবেছি এতে রদ্রিগো আরও বেশি জায়গা পাবে। আর কাজটা ও করেও দেখাতে পেরেছে।’