৩৬ বছরের অপেক্ষা শেষে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন আর্জেন্টিনাকে। ২০২২ সালের ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কার যে লিওনেল মেসির হাতে উঠতে যাচ্ছে সেটি যেন অনুমিতই ছিলো। অনুষ্ঠানের আগেই ফাঁস হয়ে গিয়েছিলো নামও। অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনার ইতি টেনে দ্বিতীয়বারের মতো ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কার উঠলো মেসির হাতেই।
প্রস্তুত ছিল মঞ্চ, উপস্থিত ছিলেন মেসি। অপেক্ষা শুধু আনুষ্ঠানিক নাম ঘোষণার। অবশেষে এলো সেই ক্ষণ। বাকি ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতার। অপেক্ষার প্রহর শেষে আসলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে প্যারিসে ‘দ্য বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ডসে’ ফিফা দ্য বেস্ট বিজয়ী হিসেবে মেসির নাম ঘোষণা করলেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনো। মঞ্চে উঠলেন ক্ষুদে জাদুকর। দ্বিতীয়বারের মত হাতে তুললেন ফিফা দ্য বেস্টের ট্রফি।
ফিফ দ্য বেস্টে মেসির প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন দুই ফরাসি কিলিয়ান এমবাপ্পে ও করিম বেনজেমা। তবে বিশ্বকাপের সোনার পালক মাথায় নিয়ে প্যারিসে এসেছিলেন মেসি, এবার সবচেয়ে যোগ্য দাবিদার ছিলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এমবাপ্পে ও বেনজেমাকে পেছনে ফেলে বর্ষসেরা ফুটবলার হলেন মেসি।
এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ফিফা দ্য বেস্ট পুরষ্কার জিতলেন মেসি। তবে ব্যালন ডি’অর ও ফিফার সম্মিলিত পুরস্কার হিসেব করলে সংখ্যাটা ৭। ১৯৯১ থেকে বিভিন্ন নামে বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার দিয়ে আসছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থাটি। শুরু থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ‘ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার’ নামের পুরস্কার একবার জেতেন মেসি।
পরের ছয় বছর ফরাসি ম্যাগাজিন ‘ফ্রান্স ফুটবল’ আর ফিফা মিলে দেয় ফিফা ডি’অর। এই পুরস্কারটি মেসি জেতেন ৪ বার। এরপর ২০১৯ সালে ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ নাম দেয় ফিফা, এই নিয়ে যেটি দ্বিতীয়বার জিতলে মেসি। তবে আগের প্রত্যেকবারের চেয়ে এবারেরটা অনেক বেশি স্পেশ্যাল মেসির কাছে। এবারেরটা যে পেয়েছেন দেশকে কাঙ্ক্ষিত বিশ্বকাপ শিরোপা এনে দেওয়ার স্বীকৃতিস্বরূপ।
ফিফা দ্য বেস্ট জিতে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে লিওনেল মেসি বলেন, বছরটা আমার জন্য দারুণ ছিল। অনেক ত্যাগের পর স্বপ্নপূরণ হয়েছে। খুব কম খেলোয়াড়ই এই স্বপ্ন পূরণ করতে পারে এবং আমি তা পেরেছি। নিজের পরিবার ও আর্জেন্টিনার মানুষদের ধন্যবাদ জানাই।
শুধু মেসি নয়, প্যারিসে ‘দ্য বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ডস’র জমকালো আয়োজনে এবার অনেকটা আলো কেড়ে নিয়েছেন আর্জেন্টাইনরা। সেরা গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ ও সেরা কোচ লিওনেল মেসির ট্রফিও গেছে আর্জেন্টিনার ঘরেই।
এদিকে, টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফিফার বর্ষসেরা নারী ফুটবলারের পুরস্কার জেতেন অ্যালেক্সিয়া পুতেয়াস। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালেক্স মর্গান ও ইংল্যান্ডের বেথ মিডকে হারিয়ে বর্ষসেরার খেতাব জেতেন স্পেন ও বার্সা মিডফিল্ডার।