মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গাংনী উপজেলার আকুবপুর নামক স্থানে গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাতদের ছুরিকাঘাতে একজন চালক গুরুতর আহত হয়েছেন। মারপিট করা হয়েছে চালকের সহকারিকেও।
আজ শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাত ৩ টার দিকে গাংনী উপজেলার আকুবপুর নামক স্থানে ঘন্টাব্যাপি এই গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
ডাকাতরা গাড়ির গতিরোধ করে একটি দুরপাল্লার নৈশকোচসহ, এ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস, আলগামন, নছিমনসহ অন্তত ৬/৭ টি ছোট বড় যানবাহন থেকে ডাকাতি করে নিয়ে যায়।
শ্যামলী পরিবহনের যাত্রী মেহেরপুর শহরের আব্দুল আলীম ও নছিমন চালক সরাফত আলী বলেন, ২০/২৫ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল রাস্তায় বেরিকেড দিয়ে কয়েকটি আলগামন ও মাইক্রোবাস আটকিয়ে ডাকাতি শুরু করে। পরে শ্যামলী পরিবহনের বাসসহ অন্যান্য যানবাহনগুলি আটকিয়ে ডাকাতি শুরু করে। শ্যামলী পরিবহনের ভিতরে ডাকাতদের প্রবেশে বাধা দিলে তারা জোর করে উঠে প্রথমে চালকের মুখের উপর ছুরিকাঘাত করে। চালক মুস্তাফিজুর রহমান স্বপন মারাত্বক আহত হন। পরে চালকের সহকারি বাচাতে এলে তাকেও বেদম প্রহার করে ডাকাতরা। এসময় পরিবহণের যাত্রীসহ অন্যান্য যানবাহনের লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতি শুরু করে। অন্তত ৩০/৪০ জনের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা, মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। পরে শ্যামলী পরিবহনের চালক মোস্তাফিজুর রহমান স্বপনকে উদ্ধার করে প্রথমে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখান থেকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
চালক স্বপনের ভাই হাফিজুল ইসলাম বলেন, স্বপনের মুখ ও নাক বরাবর ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা খারাপ। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছায়। আসামিদের আটক করতে পুলিশ ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন।