কারা অন্তরিন মেহেরপুর জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা তাজ উদ্দিন খাঁনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে মানিকনগর ডিএস আমিনিয়া আলিম মাদ্রাসা।
গত ১২ নভেম্বর মাদ্রাসার গভর্ণিং বডির সভায় তাকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আসাদুল্লাহ আল গালিব। মাওলানা তাজ উদ্দিন খান মুজিবনগরের মানিকনগর ডিএস আমিনিয়া আলিম মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী (শিক্ষক)। তিনি মুজিবনগর উপজেলার বল্লভপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেন খাঁনের ছেলে।
মাওলানা তাজ উদ্দিনকে গত ১ নভেম্বর মুজিবনগর থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। এর পর থেকে তিনি কারাগারে হাজত বাস করছেন। তার বিরুদ্ধে নাশকতা, বিষ্ফোরক দ্রব্যসহ বিভিন্ন আইনে মেহেরপুর সদর থানায় দুটি, গাংনী থানায় এবং মুজিবনগর থানায় ৬টিসহ ৯টি মামলা রয়েছে। সবগুলো মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
মাওলানা তাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে ৯টি মামলার অধিকাংশ মামলা নাশকতা ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনে। মাদ্রাসার গভর্ণিং বডির শিক্ষক প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম ও নজির আহমেদ জানান, সহকারী মৌলভী তাজ উদ্দিন খাঁনের নামে অনেকগুলো মামলা চলমান থাকায় তাকে মাসের অনেক দিন আদালতে হাজিরা দিতে হয়। একই সঙ্গে আদালতে হাজিরার দিনও তিনি মাদ্রাসাতেও হাজিরা দেন। এনিয়ে অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। অন্যান্য শিক্ষকরা প্রতিদিন যথানিয়মে মাদ্রাসা হাজিরা দিলেও মাওলানা তাজ উদ্দিন খান মামলার হাজিরা দেখিয়ে অনেক দিন মাদ্রাসাতে দুপুরে হাজিরা দেন।
মাদ্রাসা শিক্ষকদের দাবী, তিনি ছুটি নিয়ে আদালতে হাজিরা দেবেন। একই ব্যক্তি একই দিনে দু যায়গায় হাজিরা দিতে পারেন না।
মুজিবনগর থানা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালে ১৩ ফেব্রয়ারি গাংনী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি ( যার নম্বর -১১/৩০), সদর থানায় ২০১২ সালের ১৩ নভেম্বর একটি (যার নম্বর-৫) এবং চলতি বছরের ৩০ জুলাই বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরও একটি মামলা দায়ের হয় (যার নম্বর-৪৮)। এই মামলায় বর্তমানের তিনি হাজত বাস করছেন।
মুজিবনগর থানায় চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা (যার নম্বর -১১), ২০২১ সালের ১ এপ্রিল বিষ্ফোরক আইনে একটি মামলা যার নম্বর-১/৩৩, ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর (যার মামলা নম্বর-১), ১৩ সেপ্টেম্বর (যার মামলা নম্বর-৫), ৭ ফেব্রুয়ারি যার মামলা নম্বর-২) এবং ২০০৭ সালের ১৩ এপ্রিল একটি মামলা হয় (যার মামলা নম্বর-৫)।
মুজিবনগর থানার ওসি মেহেদী রাসেল বলেন, সুনির্দিষ্ট মামলার আসামি হিসেবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বর্তমানে ৯টি মামলা চলমান রয়েছে। নাশকতা, বিষ্ফোরক দ্রব্যসহ মারামারির মামলাও রয়েছে।
মানিকনগর ডিএইচএস ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, গত ১২ নভেম্বর মাদ্রাসার গভর্ণিং বডির সভায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বরখাস্তের চিঠি পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি আরও বলেন, মানবিক কারণে তাকে আদালতে হাজিরার দিনগুলোতে একটু ছাড় দেওয়া হয়। আমি ২০১৮ সালে যোগদান করার পর এবার দিয়ে তাকে দুই বার সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।