সরকারি হাসপাতালে আগত সাধারণ রোগীদের ভুল বুঝিয়ে বেসরকারি ডায়াগনোস্ট্রিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়া ও জনদূর্ভোগ সৃষ্টির অপরাধে ৩ নারীসহ ৫ জন দালালকে ৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছা: রনী খাতুন।
আজ মঙ্গলবার (৯ মে) দুপুরের দিকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল চত্ত্বরে সদর থানার পুলিশের সহযোগীতায় অভিযান চালিয়ে এসব দালালকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালত।
দন্ডিতরা হলেন, মেহেরপুর জেলা শহরের গোরস্থানপাড়া এলাকার মো: মিন্টু আলীর স্ত্রী খাজুরা খাতুন(৩৫), সদর উপজেলার বাঁড়িবাকা গ্রামের ইজারুল ইসলামের স্ত্রী সুমি খাতুন (৩২), যাদবপুর গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে জামাল উদ্দীন (৩২), দিঘিরপাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সোহাগ হোসেন (৩২) ও দিঘিরপাড়া গ্রামের আলাউদ্দীনের মেয়ে জেসমিন খাতুন (৩৩)।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছা: রনী খাতুন বলেন, দন্ডিতরা দীর্ঘদিন যাবৎ হাসপাতালে আসা গ্রামের রোগীদের ভুল বুঝিয়ে সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত করে বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে ও ডায়াগনোস্ট্রিক সেন্টারে নিয়ে গিয়ে কমিশন বাণিজ্য করে থাকেন। এতে রোগীদের সময়, অর্থ ও স্বাস্থের হানি ঘটে। এদের বারবার শতর্ক করার পরেও প্রতিনিয়ত এই অনৈতিক কাজ করে থাকেন। আজ মঙ্গলবার তাদের আটক করে দন্ড বিধি ১৮৬০ এর ২৯১ ধারায় প্রত্যেককে ৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এসময় মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), সাইফুল ইসলাম, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলমসহ পুলিশের একটি টিম ভ্রাম্যমান আদালতকে সহযোগীতা করেন।
উল্লেখ্য, দন্ডিতদের এর আগেও বেশ কয়েকবার আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে নিয়ে জেল ও জরিমানা করা হয়েছে। তাদের বিভিন্নভাবে শতর্ক করা হয়েছে। তারপরেও তারা একই কাজ বার বার করেন।