মেহেরপুর শহরের বিভিন্ন সড়কে গৃহপালিত গরুর অত্যাচারে অতিষ্ঠ পৌরবাসী। দিনের বেলায় দুই একটা চোখে পড়লেও রাত হলেই বেড়ে যায় এদের আনাগোনা। এতে পথচারী সহ চলাচলে পৌরবাসিরা পড়ছেন বিড়ম্বনায়।
গরুর অবাধ বিচরণে শহরের রাস্তা গুলো হচ্ছে নোংরা। মেহেরপুর শহরের অলিগলি ও প্রধান সড়কে ঘরে দেখা যায় প্রায় ৫০টির মত গরু গভীর রাত পর্যন্ত রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেই সাথে বাড়ির সামনে পড়ে থাকা ময়লা আবর্জনা গুলোর মধ্যে খাবারের সন্ধানে রাস্তায় ছিটিয়ে দিচ্ছে। এ ব্যাপারে পৌরসভার পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নিলেও কার্যকর করা হয়নি।
মেহেরপুর শহরের কোর্ট মোড়ের দোকানদার কামরুল হাসান জানান, প্রতিদিন সন্ধ্যার পর দোকানের সামনে ময়লা আবর্জনা গুলো গুছিয়ে রাখি। রাত হলেই সেগুলোকে কয়েকটা গরু এসে ছিটিয়ে দিয়ে যায়।
চা দোকানি সবুজ বলেন, প্রধান সড়কে অবাধে কয়েকটি গরু প্রতিনিয়ত চলাফেরা করে। এতে যেখানে সেখানে মল ত্যাগ করে পরিবেশ দূষণ ঘটাচ্ছে।
বড় বাজার ব্যবসায়ী হিরক বলেন, গত বৃহস্পতিবার আমাদের পাশের একটি নর্দমাতে একটি গাভী পড়ে যায়। গরুর মালিকের কোন খোঁজ না পেয়ে ফায়ার সর্ভিসকে খবর দিই। তারা আসতে না চাইলে আমরা স্থানীয় কয়েকজন ঘন্টা খানেক চেষ্টার পর গরুটি উদ্ধার করি। আর কিছুক্ষণ নর্দমায় থাকলে হয়তো মারা যেত। পরে সন্ধ্যার দিকে মালিক এসে গাভী নিয়ে গেলো।
মেহেরপুর পৌর মেয়রের দেহরক্ষী লিখন জানান, মেহেরপুর শহরে প্রতিনিয়ত প্রায় ৫০-৬০ গরু অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে ভীষণ পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। আমরা বেশ কয়েকবার কয়েকটি গরু ধরে আকটে রেখেছিলাম। তিন চার দিন পর মালিকের খোঁজ হয়। কিন্তু এ পর্যন্ত আমাদেরকেই খাবার দিতে হয়েছে। মালিকদের কড়া ভাবে বলেও কোন লাভ হয়নি।
মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন, শহরে যেসব গরু গুলো ঘুরে বেড়ায় এই গরু গুলোকে বেশ কয়েকবার আমরা আটকে রেখেছিলাম। কিন্তু মালিক পক্ষ থেকে মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে গেছে। বারবার বলা পরেও তারা মানছে না। দুই একদিন ঠিক থাকলেও পরে আবার তারা রাস্তায় ছেড়ে দেয়।
আমরা ইতোমধ্যে গরুর বিষয়ে মাইকিং করেছি। যদি এরপরও না হয় তবে আমরা পৌরসভার পক্ষ থেকে খোয়াড়ের ব্যবস্থা করবো। যাতে গরু আটকের পর জরিমানা দিয়ে মালিককে ছাড়াতে হয়। পৌরসভাকে পরিষ্কার পরিছন্ন রাখতেই আমরা এই পদক্ষেপ দ্রুত বাস্তবায়ন করবো।